whatsapp channel

রাজনীতিতে নক্ষত্র পতন, ফিরে দেখা প্রণব বাবুর জীবনের কিছু মুহূর্ত, রইল সেই ছবি

গত ১০ই আগস্ট দিল্লির সেনা হাসপাতালে ভর্তি হন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ এর জন্য ইমারজেন্সি ব্রেন সার্জারি হয়। কখনো ভালো…

Avatar

HoopHaap Digital Media

Advertisements
Advertisements

গত ১০ই আগস্ট দিল্লির সেনা হাসপাতালে ভর্তি হন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ এর জন্য ইমারজেন্সি ব্রেন সার্জারি হয়। কখনো ভালো কখনো খারাপ এই ভাবেই চলছিল। অবশেষে আজ ৩১ শে আগস্ট জীবন যুদ্ধে হেরে যান প্রণব।

Advertisements

প্রণব পুত্র অভিজিৎ ওনার মৃত্যুর খবর টুইট করেন। ভারতের ত্রয়োদশতম রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রণব। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনের ছয় দশকব্যাপী ছিল। তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের অর্থমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের সমস্যা সমাধানকারী নেতা ছিলেন। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর এক বিশেষ সহকর্মীতে পরিণত হয়েছিলেন।

Advertisements

Advertisements

১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধী ক্যাবিনেট মন্ত্রী সভায় তিনি স্থান পান। ১৯৮০ – ১৯৮৫ পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার দলনেতা ও ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বিভিন্ন সময় ভারতের বিদেশ, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ, রাজস্ব ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

Advertisements

 

শুধু দলের মধ্যেই নয়, দলের বাইরেও তিনি বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছিলেন। দেশের প্রতি তাঁর অবদান চিরকাল ভারতবাসী মনে রাখবে। ‘ভারতরত্ন’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’ এবং ‘শ্রেষ্ঠ সাংসদ’ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১১ সালের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘সাম্মানিক ডক্টর অফ লেটার্স’ ডিগ্রী দেয়। ২০১২ সালের মার্চ মাসে আসাম বিদ্যালয় ও বিশ্বেশ্বরায়া প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডি.লিট ডিগ্রি দেয়। আরো অনেক সম্মানে তিনি সম্মানিত হন।

প্রণব মুখার্জি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কিন্নাহার শহরের নিকটস্থ মিরাটি গ্রামে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তার পিতা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায়। মাতা ছিলেন রাজলক্ষ্মী দেবী। পিতা ছিলেন একজন বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী। ১৯২০ সাল থেকে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। প্রণব মুখার্জি সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্র ছিলেন। এটি সে সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন কলেজ শিক্ষক হিসাবে। পরে তিনি সাংবাদিকতা সহ বেশ কিছু কিছু কাজ করেছিলেন। এ সময় তিনি ‘দেশের ডাক’ নামে একটি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। এছাড়াও তিনি ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’- এর ট্রাস্টি ও পরে ‘নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য’ সম্মেলন এর সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি স্বরূপ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৭৩ সালে কেন্দ্রীয় শিল্পোন্নয়ন উপমন্ত্রী হিসেবে তিনি প্রথমবার ক্যাবিনেটে যোগদান করেছিলেন। ক্যাবিনেটে ক্রমান্বয়ে পদোন্নতির পর থেকে তিনি ১৯৮২ – ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করেন। এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং রাজ্যসভার সদস্য হওয়ায়, প্রণব মুখোপাধ্যায় লোকসভায় কংগ্রেস দল নেতার দায়িত্ব পান। তার রচিত কতকগুলি বইয়ের নাম হল ‘মিডটার্ম পোল’, ‘বিয়ন্ড সারভাইভাল’, ‘চ্যালেঞ্জ বিফোর নেশন’ ইত্যাদি।

whatsapp logo
Advertisements
Avatar