চূড়ান্ত অমানবিকতা! এই চরম সঙ্কটে মাত্র ৪ কিলোমিটারে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া দশ হাজার টাকা

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অবস্থা সঙ্কটজনক। করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে রীতিমতো বেহাল সারা ভারতবর্ষ। করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউতে ছোট থেকে বড় কেউ রেহাই পায়না। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় তিন লক্ষের বেশি মানুষ করোনাতে সংক্রামিত হচ্ছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চারিদিকে শুধু নানা আর্তনাদ, যন্ত্রণা, বুক ফাটা কান্না, মৃতদেহের স্তূপ, আর সাড়ি সাড়ি গণচিতার আগুন জ্বলে উঠছে।

কোভিড -১৯ এর সবচেয়ে ভয়াবহ স্থান মহানগরীতে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪,২৩৫ জন। ৩৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সময়সীমার মধ্যে, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৭ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বেড পাচ্ছেনা তো কেউ পাচ্ছেনা ওষুধ কেউ পাচ্ছেনা অক্সিজেন। রাজধানীতে এখন শুধুই হাহাকার। এই খারাপ সময়ে কিছু বিকৃত মানুষ কালো বাজারি করতে ভোলেনি।

একটা অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া কত হতে পারে? ঘন্টায় ১২০০-১৫০০ খুব জোড় ২০০০ টাকা। এই অ্যাম্বুল্যান্সের দাম ঠিক হয় রাজ্যের বিভিন্ন দামের মধ্যে। তবে এই পরিস্থিতিতে মাত্র ৪ কিলোমিটার পথ যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া দাঁড়াতে পারে ১০ হাজার টাকা হবে এটা হতে পারে ভেবেছেন কখনো?

সম্প্রতি আইএএস অফিসার অরুণ বোথরা নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এমনই একটি অরুচিকর ঘটনার কথা আমাদের সামনে এনেছেন। দিল্লির প্রীতমপুরা থেকে ফর্টিস হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার, কিন্তু সামান্য এই পথ যেতেই ডিকে অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস বিল কেটেছে ১০ হাজার টাকার একজন রোগীর বাড়ির সদস্যের থেকে। সেই অফিসার নিজে সেই রসিদের ছবি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে আপলোডও করেছেন। তিনি লিখেছেন যে সারা বিশ্ব এখন আমাদের দেখছে, দেখছে কতটা অমানবিক মানুষ হতে পারে।

সোশ্যাল মাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই পোস্ট। এরপর এই পোস্টে ১৯ হাজার মতো কমেন্ট এসেছে। অনেকেই কমেন্ট করে লিখেছেন, যে তাঁরা কালোবাজারের শিকার হয়েছেন দেশের এই কঠিন অবস্থাতে। কেউ আবার লিখেছেন সরাসরি- শুধু মানবিকতা নয়, তাঁরাও আজকাল আর নিজেদের জীবন্ত বলে বোধ করেন না। অনেকে লিখেছেন যে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যেখানে খুব বেশি হলে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যায়, সেটাই তাঁদের কিনতে হয়েছে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে। এই কালোবাজারি এখন খুবই আবশ্যক প্রশ্ন করেছেন অনেকেই। অনেক মানুষ টাকার অভাবে মারা যাচ্ছে। দিল্লির সাধারণ মানুষের এখন একটাই আর্জ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে। এখন এই জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত সব জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দেওয়া হয়।

Leave a Comment