নতুন বছরের আগেই বিরাট ঘোষণা মোদি সরকারের, দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দেবে কেন্দ্র
স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক নাগরিক মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের ধরণের উপর।
এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার প্রদত্ত একাধিক ধরণের রেশন কার্ড দেওয়া হয় নাগরিকদের। তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করেই এই কার্ড ইস্যু করা হয়। অন্ত্যোদয় অন্নযোজনা হল কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ডের বিশেষ ক্যাটাগরি। অতি দরিদ্র নাগরিকদের এই ক্যাটাগরিতে এনে একটু বেশিই সুবিধা দেয় সরকার। তবে করোনাকালীন সময়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে দেশরর খাদ্যাভাব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া মোদি সরকার। ২০২০ সালে দ্বিগুন রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করে কেন্দ্র।
আর সেই থেকেই এই বিষয়টিকে বর্ধিত করে আসছে কেন্দ্র। আর ফের একবার এই সুবিধার বর্ধিতকরণের ঘোষণা করেছে সরকার। আগস্টে জানানো হয়েছিল যে আরো ৩ মাস মিলবে এই সুবিধা। অর্থাৎ ডিসেম্বর অবধি নাগরিকরা এই সুবিধা পেতে চলেছেন বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে সেই ডিসেম্বর তো চলেই এসেছে। তাহলে কি এই মাসের পর থেকে আর মিলবে না এই সুবিধা? এই প্রশ্ন ঘুরছে অনেক গরিবের মনে। কারণ এই সুবিধা বন্ধ হয়ে গেলে যে কোটি কোটি মানুষ সমস্যায় পড়বেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে এবার দেশবাসীকে সুখবর দিলো মোদি সরকার। জানা গেছে, ডিসেম্বরের পর অর্থাৎ, ১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে আরো ৫ বছর দেশবাসীকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। অর্থাৎ ২০২৯ সাল অবধি মিলবে এই সুবিধা। আর এই আসন্ন সময়ে আরো বেশি দেশবাসীকে এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী স্পেলে ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ উপভোক্তা এই সুবিধা পাবেন। এর ফলে কেন্দ্রের অতিরিক্ত ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে।