Gantchhora: বিয়ের সময় পর্দার পিছনে কি করছিলেন রাহুল-দ্যুতি! ফাঁস করলেন শ্রীমা নিজেই
পর পর টানা প্রায় বেশ কয়েক সপ্তাহ শীর্ষস্থানে অপ্রতিরোধ্য গাঁটছড়া। গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক স্টার জলসার ভাগ্য বদলে দিয়েছে। মিঠাইকে লড়াইতে আসতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে। ওদিকে গল্পে এখন টানটান উত্তেজনা। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে তাহলে রাহুল এবং দ্যুতির। আবার অন্যদিকে জানা গিয়েছে যে দ্যুতি আসলে অন্তঃসত্ত্বা নয়। ঝগড়ার মাধ্যমে খড়ি আর ঋদ্ধির প্রেম জমে উঠেছে। তাই দর্শক আর চোখ ফেরাতে পারছেনা গাঁটছড়ার থেকে। এই সপ্তাহের ধারাবাহিকটির টিআরপি ছিল ১০.০।
প্রায় তিন চার সপ্তাহ চলছে বিয়ের সিকোয়েন্সের শুটিং। টানা কাজ করতে করতে সকলেই ক্লান্ত। এর মধ্যে সবথেকে বেশি চাপ যাচ্ছে অনিন্দ্য এবং শ্রীমার। সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে দুজনের মাথা তোলার সুযোগ পাওয়া কঠিন এখন। ওদিকে সমস্ত দৃশ্য ঠিকঠাকভাবে শুটিং হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন ধারাবাহিকের পরিচালক সৌমেন হালদার। সিঁদুর দান যদি একটু ভুল হয়েছে তো সেটের সবাইকে বকা দিচ্ছেন তিনি। ঠিক না হলে একাধিক বার করতে হবে সিঁদুর দান।
স্টুডিও সেটে প্রত্যেকটি আনাচে-কানাচে এখন বিয়ের আসর। প্রতিদিন একই পোশাকে একই সিকোয়েনস করতে করতে ক্লান্ত তারা। তবুও দর্শকদের ভালোলাগার কাছে এই সব ক্লান্তি নগণ্য। পরিচালক সৌমেন হালদার অগুন্তি বিয়ে দিয়েছেন। এই ধারাবাহিকেই দুটো বিয়ে এবং ধারাবাহিক ‘মন ফাগুনে’-ও তিনটে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাঙালিরা এই একটি অনুষ্ঠান ভীষণ খুঁটিয়ে মানেন আজও। সিঁথি উপচে সিঁদুর না পরালে খুশি হন না। ফলে, রাহুল বা দ্যুতি ভুলচুক করলেই একাধিক বার বিয়ের দৃশ্য গ্রহণ করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যেকটি কলাকুশলীরা দেদার মজা করে অভিনয় করছেন। শ্রীমা ভট্টাচার্য পোস্ট করা ইনস্টাগ্রাম রিলসে তা স্পষ্ট। হাজার ক্লান্তিতেও তারা একসঙ্গে মজা করে হইহই করে বাঁচেন। আর পর্দার সামনে এই রসায়ন ফুটিয়ে তুলতে আরও সাহায্য করে তাদের পর্দার পেছনের বন্ধুত্ব।
View this post on Instagram