Gold Jewellery: সীমা বেঁধে দিয়েছে আয়কর দফতর, এর থেকে বেশি পরিমাণ সোনা থাকলেই বাড়িতে পড়বে ‘রেড’
পুরাকাল থেকেই ভারতীয় রাজা মহারাজাদের মধ্যে যেমন সোনার গয়না পরার চল ছিল। আবার রাজরানী বা পাটরানীদের কাছেও থাকতো সোনার গয়নার সম্ভার। আর ভারতে সেই প্রাচীনকালের সংস্কৃতি এখনো রয়ে গেছে প্রকটভাবেই। সেই কারণে ভারতে সোনার চাহিদা অন্যান্য পাশ্চাত্য দেশের থেকে অনেকটাই বেশি। এছাড়াও সোনার ব্যবহার রয়েছে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রেও। বিয়েবাড়ি থেকে জন্মদিন এমনকি অন্নপ্রাশন, বার্ষিকী উদযাপন সহ নানা ছোটখাটো অনুষ্ঠানেও সোনার গয়না উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে আমাদের দেশে।
আর এইসব কারণেই সোনার দামের দিকে প্রতিদিন নজর থাকে অনেকের। তবে সোনার দামের থেকেও সোনার বিষয়ে আরো কিছু তথ্য সকলের জেনে রাখা জরুরি। নাহলে পড়তে হতে পারে ভীষণ সমস্যায়। কারণ বর্তমানে সোনা হল একটি বহুমূল্যবান ধাতু। তাই এটিকে স্থাবর সম্পত্তি হুসেবেই বিবেচিত হয় এখন। আর সেই কারণে বাড়িতে ঠিক কতটা পরিমান সোনা রাখলে আয়কর দফতরের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, সেই বিষয়টিও জেনে রাখা জরুরি।
প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে ১৯৬৮ সালে ভারতে চালু ছিল Gold Control Act. এই আইনের অধীনেই বলা ছিল যে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অবধি সোনা নিজের কাছে রাখতে পারবেন ভারতের নাগরিকরা। তবে সেই আইনটি দীর্ঘদিন চলার পর ১৯৯০ সালে বাতিল হয়ে যায়। এরপর ১৯৯৪ সালে Central Board of Direct Taxes বা CBDT সোনার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল। আর এই নির্দেশিকায় সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে যদি কোনো বিবাহিতা মহিলার কাছে সর্বাধিক ৫০০ গ্রাম অবধি সোনা পাওয়া যায়, তাহলে তা বাজেয়াপ্ত করা যাবেনা। এছাড়াও অবিবাহিতা মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২৫০ গ্রাম। যেখানে একজন পুরুষ সর্বোচ্চ ১৫০ গ্রাম সোনা নিজের কাছে নির্দ্বিধায় রাখতে পারবেন।
তবে যেকোনো ধরণের রেড-এ সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হলে তার জন্যও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। তদন্তের অধীনে থাকা নাগরিক নিজের ওয়েলথ ট্যাক্স রিটার্নে সোনার গয়নার স্বীকারোক্তি থাকলে তার অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করা হবে না। তবে ওয়েলথ ট্যাক্সের অধীনে যদি না থাকেন, তাহলে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত গয়না তার কাছ থেকেও বাজেয়াপ্ত করা হবে না। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমাগুলি মনে রাখব জরুরি।