Post office: পোস্ট অফিসে বদলে গেল একাধিক নিয়ম, এবার থেকে টাকা তুলতে গেলে করতে হবে এই কাজ
পোস্ট অফিসের একাউন্ট নিয়ে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ইন্ডিয়া পোস্ট
পোস্ট অফিসের বিভিন্ন একাউন্ট সাধারণ মানুষের জন্য খুবই উপযোগী। সাধারণ মানুষ এই ধরনের একাউন্ট করেন মূলত নিজের লাভের আশায়। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ধরনের একাউন্টের চাহিদা অনেক বেশি। যেখানে ব্যাংক এখনো বিশেষ জনপ্রিয় হয়নি, সেখানে পোস্ট অফিসের এই ধরনের একাউন্ট মানুষদের বছরের পর বছর ধরে সার্ভিস দিয়ে আসছে। এইসব এলাকায় বহু বছর ধরে পোস্ট অফিস সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে আসছে নিরন্তর। পোস্ট অফিসের একাউন্ট করার সবথেকে বড় সুবিধা হলো এই একাউন্ট কোনো বিশেষ বন্ধক ছাড়াই শুরু করা যায়। উপরন্তু, এই একাউন্টে আপনি ব্যাপক রিটার্ন পেয়ে থাকেন। তবে, ব্যাংকের মতো এখন পোস্ট অফিসের একাউন্টের অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই মিনিমাম ব্যালেন্স। যদি আপনার একাউন্টে মিনিমাম ব্যালেন্স না থাকে তাহলে আপনার একাউন্ট থেকে ১০০ টাকা কেটে নেয়া হবে।
এর আগে পোস্ট অফিস একাউন্টের ন্যূনতম ব্যালেন্স ছিল ৫০ টাকা। তবে এখন এই ব্যালেন্স হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ টাকা। অর্থাৎ, যদি আপনার একাউন্টে ন্যূনতম ৫০০ টাকা না থাকে, তাহলে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে দেয়া হবে। এছাড়াও, পোস্ট অফিসের একাধিক নিয়মে নিয়ে আসা হয়েছে পরিবর্তন। চলুন সেগুলি একটু দেখে নেওয়া যাক
১. উইথড্রল ফর্মের পরিবর্তন-» এই মুহূর্তে পোস্ট অফিসের টাকা তোলার স্লিপে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এর আগে ২ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আপনি টাকা তুলতে পারতেন। তবে এখন ফরম ৩ পূরণ করতে হবে। এছাড়াও, আপনি এর আওতায় পাস বুক দেখিয়ে মানুষ ৫০ টাকা অবধি তুলতে পারবেন।
২. একাউন্ট হোল্ডারের সংখ্যা পরিবর্তন-» এখন একটি জয়েন্ট একাউন্টে ৩ জন একসাথে একাউন্ট করতে পারবেন। আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২।
৩. সুদের হার পরিবর্তন-» এই মুহূর্তে মাসের ১০ তম দিন থেকে এবং মাসের শেষে অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স যত থাকবে, তার উপরে বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে সুদ গণনা করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ধরনের সুদ প্রতি বছরের শেষে গণনা করা হবে, মাসের শেষে নয়। এই সুদের পরিমাণ সরাসরি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। কোনও অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে যদি অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হয়, তবেই তার অ্যাকাউন্টের সুদ শুধুমাত্র সেই মাসের শেষে দেওয়া হবে।