আমদানি শুল্কে আমূল পরিবর্তন, রেকর্ড হারে কমবে সোনার দাম, পতন হবে রূপোতেও
এই দশকের প্রথম বাজেট (Budget) পেশ করেছেন আজ, সোমবার (Monday) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitarman)। এই বাজেট ছিল মোদি সরকারের নবম বাজেট পেশ। অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের হয়ে তৃতীয় বারের জন্য বাজেট পেশ করলেন সীতারমন। এবারের বাজেট করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতির পর ভারতের অর্থবর্ষে আমূল পরিবর্তন আনবে বলেই আশাবাদী অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। তাই সকলেই এই বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। প্রত্যাশামতোই এই বাজেট যেমন পশ্চিমবঙ্গকে (Westbengal) দিয়েছে ঢালাও উপহার, ঠিক তেমন প্রবীণদের জন্য এনে দিয়েছে স্বস্তি।
এবার মধ্যবিত্তদের মুখে হাসি ফোটালো এই বাজেট। এক কথায় বলা যায়, দেশের স্বর্ণব্যবসায়ীদের কথা রাখলেন নির্মলা সীতারামন। বাজেট ঘোষণার সময়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, সোনা (Gold) ও রূপোর (Silver) ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক পর্যালোচনা করবে কেন্দ্র (Central Govt)। অর্থনীতিবিদরা বলছেন আমদানি শুল্ক কমলে জোড়া লাভ। একদিকে কমতে পারে সোনা-রুপোর দাম। অন্যদিকে, চোরা পথে সোনা আমদানিও বন্ধ হবে। সব মিলিয়ে সরকারের আয় বাড়বে বই কমবে না। এর পাশাপাশি সোনা-রূপোর দামেও পতন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই হাসি ফুটবে মধ্যবিত্তদের মুখে।
ভারতে সোনার দামের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত হয় আমদানি শুল্ক এবং ৩ শতাংশ জিএসটি। এই আমদানি শুল্ক কমলে স্বাভাবিকভাবেই সোনার আম কমবে। আর তাই বাজেট এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে অনেকে। এমনকি দেশের স্বর্ণব্যবসায়ীরা এটাই চাইছিলেন, তা স্পষ্ট। তারা চাইছেন এই শুল্কের পরিমাণ ৪ শতাংশে নিয়ে আসুক কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে অনেকটাই পড়ে যাবে সোনার দাম।
নির্মলা সীতারামন এই আমদানি শুল্ক এবং সোনা-রূপোর দামের পতন সম্পর্কে বাজেট পেশের সময় এদিন বলেন, ‘আগে সোনার জন্য কাস্টম ডিউটি দিতে হত ১০ শতাংশ। আমরা সেটাকে ১২.৫ শতাংশ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমরা আরও শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার করছি।’ এখন বাস্তবে কতটা সোনার দাম হু হু করে কমে, সেটাই দেখার।