Laxmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ নিয়ে বড় ঘোষণা নবান্নের, এইসব মহিলারা আর পাবেন না প্রকল্পের টাকা
পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় এখনো অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন মহিলারা। তাই মহিলাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্তর উন্নীত করার লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করে যুগান্তকারী প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে ইস্তাহারে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি মেনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পটি চালু করেছিল তৃণমূল সরকার। রোজগারহীন দুঃস্থ মহিলাদের হাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা তুলে দেওয়া হয়। করোনাকালীন সময়ে এই অৰ্থিক সহায়তা মহিলাদের ব্যাপক উপকৃত করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পে অসংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় মাসে ৫০০ টাকা এবং সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা মাসে ১,০০০ টাকা পেয়ে থাকেন। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা দেশে এমনকি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সমাদৃত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিস্কপ্রসূত এই প্রকল্প। একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ভাবনা। এমনকি এই মডেলকে অনুসরণ করে বিভিন্ন রাজ্যে এমন সব প্রকল্প নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে সংযুক্ত করছে রাজনৈতিক দলগুলি।
আর এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পকে নিয়ে এবার বছর শেষে এসে গেল এক বড়সড় আপডেট। এমনিতে রাজ্যের যেকোনো মহিলার বয়স ২৫ বছর পেরোলেই তিনি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ছাড়াও বিডিও ও এসডিও অফিসে গিয়েও আবেদন করা যায় এই প্রকল্পের জন্য। তবে রাজ্যের সব মহিলারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। সম্প্রতি, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, যেসব মহিলারা সরকারি অথবা সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থায় চাকরি করেন, কিংবা পঞ্চায়েত বা বিধিবদ্ধ কোন সংস্থা, পৌরসভা অথবা পৌরনিগম অথবা স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা অথবা সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে চাকরি করেন, তারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প। আর এই ক্যাম্পে সরকারের নানা প্রকল্পে না নথিভূক্তকরণের পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্যও নাম নথিভুক্ত করা যাবে। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী বছরের মধ্যে আরো ৯ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। বর্তমানে ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩১ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পান। আর নতুন করে ৯ লক্ষ যুক্ত হলে সংখ্যাটা ২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।