শৈশব থেকেই টিয়া, চন্দনা, কাকাতুয়ার কাহিনী শুনে শিশুরা বড় হয়ে ওঠে। কখনও গল্পের বইয়ে, কখনও বড়দের মুখে টিয়া নিয়ে শুনতে পাওয়া যায় হাজার কাহিনী। অধিকাংশ বাড়িতেই পোষ্য পাখির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায় টিয়া। সবাই জানে, টিয়া বাড়ির লোকের কথা অনুকরণ করে। কিন্তু টিয়া যদি হঠাৎই পোহা বানানোর হুকুম দেয়?
সম্প্রতি এরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায় যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি সবুজ টিয়া বাড়ির গিন্নির ঢং-এ জিজ্ঞাসা করছে, কি রান্না হবে! অপর টিয়া বাড়ির বৌয়ের মতো সঙ্কোচ ভরে ভয়ে ভয়ে বলছে, সবজী রান্না হবে। তখন পাথরবসানো টিপ পরা শাশুড়ি মার্কা টিয়া বলে, সবজী হবে না, পোহা তৈরি হবে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটদুনিয়ায় উঠেছে হাসির রোল। উপরন্তু টিয়ারানি আবার লাল লঙ্কা ও টমেটো নিয়ে পোহা বানাতে বসেছে। এমনকি স্টীলের কৌটো খুলে দেখছে, তাতে পোহা বানানোর উপকরণ আছে কিনা!
ভিডিওটি শেয়ার করেছে ‘প্যারটটিউব’ নামে একটি ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল। এই প্রোফাইলে গেলে বিভিন্ন ধরনের টিয়া দেখতে পাওয়া যায়। তবে এতদিন মানুষ ইন্সটাগ্রাম রিল বানাত। এবার পাখিরাও শিখছে কি করে রিল বানাতে হয়। অনায়াসেই বোঝা যাচ্ছে, এখনকার টিয়া অজ পাড়াগাঁয়ে থাকে না। কোনদিন যদি টিয়া সেলফি তোলে, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আফটার অল টিয়া তো বিশ্বসুন্দরী।
শীতের সময় ক্রমশ এগিয়ে আসছে। ছাদে রোদে গিয়ে বসলে দেখা যায়, কখনও কখনও একঝাঁক টিয়া মাথার উপর দিয়ে উড়ে চলে গেল। এটা তো ছিল পোহা বানানোর ঘটনা। একবার পরিচিত এক মহিলা তাঁর ছাদের বাগানের গাছে জল দিতে গিয়ে দেখেন কয়েকটি গাছের পাতা নিপুণভাবে কাটা। দেখে মনে হচ্ছে, কোনো মালি সুন্দর করে গাছের পাতা ছেঁটেছে। কিন্তু মহিলা তো কোনো মালি রাখেননি! ফলে কে গাছের পাতা ছাঁটছে, ধরার জন্য তিনি তক্কে তক্কে ছিলেন। এরপর তাঁকে তাজ্জব করে দিয়ে বিকালে এক সুন্দরী টিয়া এসে ছাদের আলসেতে বসল। এরপর কখনও টুকটুক করে হেঁটে, কখনও বা মনের আনন্দে একটু নেচে ছাদে ঘুরে তার মনে পড়ে গেল, তার একটি বিশেষ কাজ আছে। যেই না কাজের কথা মনে পড়ল, অমনি কাজপাগল সুন্দরী শুরু করে দিল তার কর্ম। উড়ে গিয়ে টবের একটি গাছের কাছে বসে মনের সুখে নিজের টুকটুকে লাল ঠোঁট দিয়ে নিপুণ ভাবে কুচিয়ে দিল গাছের পাতা। অদ্ভুত হলেও এটাই সত্যি। তবে টিয়া গাছের পাতা কুচালো কেন? সুন্দরী তো, তাই ঠোঁটে একটু শান দিয়ে নিল আর কি!
View this post on Instagram
