Bengali SerialHoop Plus

Pilu: টুসু পরব নিয়ে ছেলেখেলা! সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কটের ডাক ‘পিলু’ ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে

সুরের ছন্দে বাঁধা একটি মেয়ের জীবন নিয়ে শুরু হয়েছিল জি বাংলার ‘পিলু’ ধারাবাহিকের পথ চলা। ঘটনাচক্রে শুরুতেই সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছিল ‛পিলু’। আহির ওরফে গৌরব রায় চৌধুরী ও পিলু ওরফে মেঘা দাঁ-এর জুটি বেশ পছন্দ হয়েছিল দর্শকের। পুরুলিয়া গ্রামের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে এই মেগাতে। ‘টুসু পরবে পিলুর বিহা’ দেখাতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। জঙ্গলমহলকে নিয়ে ছেরখানি করার অভিযোগ উঠেছে এই মেগার বিরুদ্ধে। কেউ কেউ তো আবার এর বিরুদ্ধে কবিতাও লিখে ফেলেছেন।

শুধু অভিযোগই নয় বাংলা জুড়ে বয়কটের ডাক পড়েছে ‛পিলু’র বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে হ্যাশট্যাগ বয়কট পিলু দিয়ে। বিশেষত পুরুলিয়ারবাসীর মতে, টুসু পরবে বিয়ে কোনোদিনও হয়না। তাঁদের ভাষায় পিলু শব্দের অর্থ ভীতু। কোনো কিছু না জেনে কিভাবে একটি গল্প লিখে সেটিকে ধারাবাহিকের আকারে তুলে ধরা হয় সেই নিয়েই সরব জঙ্গলমহল। নেটিজনের ভাষায়, “জি বাংলা চ্যানেলকে বয়কট করে ও প্রতিবাদ করতে অনুরোধ জানাই।”

জঙ্গলমহল প্রেমীরা জানিয়েছেন ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে এই ধারাবাহিক। তাঁদের ভাষায়,“টুসু পরব সমস্ত আদিবাসীদের সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতিকে বিকৃত করার সাহস হয় কি করে? নিজেদের ব্যবসার জন্য আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে এই ধরনের কাজ মেনে নেবো না। প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” কারোর ভাষায়, “স্ক্রিপ্ট লেখককে ধিক্কার।সাংস্কৃতিক ঐহিত্য কে বিকৃত করে ধ্বংস করার জন্য।” এমনকি কেউ কেউ স্ক্রিপ্ট রাইটারকে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি করেছেন।


এই সংস্কৃতির বিষয় নিয়ে নেটপাড়া এতটাই উত্ত্যক্ত হয়ে উঠেছে যে, কেউ কেউ তো বাংলার সংস্কৃতিকে অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে কটাক্ষ করে বসেছেন। তাঁদের মতে, “ বাংলা বিনোদনমূলক চ্যানেল গুলোতে যে সিরিয়াল গুলো প্রতিদিন চালানো হয়, তার প্রায় প্রতিটিতেই একজনের একাধিক বিয়ে, এর বাইরেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, স্ত্রীকে লুকিয়ে বিয়ে, পারিবারিক অশান্তি, গ্রামের মেয়েদের পণ্য রূপে ব্যবহার- এই বিষয়গুলোই মূলত দেখানো হয়। এবার ওদের নজর পড়েছে জঙ্গলমহলের দিকে।” এমনকি তাঁরা এও জানিয়েছেনকে যে ধারাবাহিকের সাথে সাথে চ্যানেলকেও বয়কট করা হোক।

Related Articles