কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায়, সঙ্গে বজ্রপাতের তুমুল সম্ভাবনা
ইতিমধ্যেই ভারতের একাধিক এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। কেরালা দিয়ে প্রবেশ করে এবারে এই মৌসুমী বায়ু ধীরে ধীরে ভারতের উত্তর প্রান্তের রাজ্যগুলিতে পৌঁছে যাচ্ছে। এই মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাক বর্ষা বৃষ্টিপাত। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দেশের উত্তর পশ্চিম এলাকায় ধুলোর ঝড় কিংবা আঁধি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাত হবে এই আঁধিতে। লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা, গোয়া থেকে শুরু করে মুম্বাই সমস্ত জায়গায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে, মৌসুমি বায়ুর অন্য শাখার প্রভাবে এখনই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ছত্রিশগড়ের দিকে।
আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১ জুন ভারতের পূর্ব প্রান্তে প্রবেশ করতে চলেছে মৌসুমী বায়ু। ইতিমধ্যেই ভারতের পূর্ব প্রান্তে তৈরি হয়ে গিয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপের সাহায্যেই ভারতের পূর্ব প্রান্তে আসছে মৌসুমী বায়ু। বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে এই মৌসুমী বায়ু বৃষ্টিপাত করতে সাহায্য করতে চলেছে।
এছাড়াও পূর্ব মধ্য ভারতের একাধিক জায়গায় বৃষ্টিপাত হবে আর কিছুদিন পর থেকেই। উত্তরপূর্বে রাজ্যগুলিতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অসম, মিজোরামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার সাথেই ভারতের হিমালয়ান ক্ষেত্র এবং অরুণাচল প্রদেশের বেশ কিছুটা অংশে এই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
বাংলাতেও আজ বিকেলের পর সন্ধ্যার দিক থেকে শুরু হতে চলেছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে এদিন তুমুল বৃষ্টিপাতের সংকেত দেখানো হয়েছে। কলকাতা সহ বিশেষত দক্ষিণ বঙ্গের জেলা গুলিতে এর প্রভাব পড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি বিগত কয়েক দিন রাজ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে। বাজ পড়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এরই মধ্যে বর্ষার চোখরাঙ্গানি কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় আবহাওয়াবিদরা।