হেমা মালিনী, যিনি এখনও বলিউডের ড্রিম গার্ল। একটা সময় বলিউডের তাবড় তাবড় নেতারা হেমার প্রেমে হাবুডুবু খেতেন। একটা সময় তো জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ে পর্যন্ত ঠিক হয়ে গিয়েছিল। হেমার পরিবারের লোকেরা চেয়েছিলেন জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমা মালিনীর বিয়ে হোক। ‘বেয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ এ হেমা-ধর্মেন্দ্রের প্রেম জানলে আপনাকেও ভাবাবে। জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ে একদম ঠিক। বিয়েবাড়িতে ম্যারেজ রেজিস্ট্রার হাজির। সই সাবুদ হবে, লোকজন নিমন্ত্রিত ছিল। মাদ্রাজে বসে ছিল বিয়ের সেই রাত। একদম সিনেমার গল্পের মতন ধর্মেন্দ্র মদ্যপ অবস্থায় মাদ্রাজের বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। সেই রাতে হেমার বাবা নাকি ধর্মেন্দ্রকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘কেন তুমি আমার মেয়ের জীবন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছ না? তুমি এক জন বিবাহিত পুরুষ, তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পার না।’’ সেদিন একজন অসহায় প্রেমিকের মতন হেমার বাবার কাছে বিনীত কন্ঠে অনুরোধ জানান ধর্মেন্দ্র। হেমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন শুধু। অনেক অনুনয় বিনয় করার পরে রাজী হন হেমার বাবা। সেদিন হেমা মালিনীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে আসেন হেমা। সকলের কাছে সময় চেয়ে নেন। এদিকে জিতেন্দ্রর পরিবার সেদিন হেমাকে স্পষ্ট জানান যে তাঁদের ছেলে কোন অপশন নয়, হয় আজ বিয়ে হবে নয়তো কোনদিনই নয়। সেদিন হেমা সকলকে ‘না’ উত্তর দিয়েছিলেন। সেদিন ধর্মেন্দ্র জিতে গিয়েছিলেন।
জিতেন্দ্র ও সঞ্জীব কুমার ছাড়াও আরও একজন হেমার প্রেমে পাগল ছিলেন। তিনি হলেন রাজ কুমার। ১৯৫৭ সালের মাদার ইন্ডিয়ার ছবিতে অভিনয় করে যিনি দর্শকদের মনে বিশেষ জায়গা বানিয়ে নেন। এছাড়াও ‘পয়গাম’, ‘দিল এক মন্দির’, ‘কাজল’, ‘নীল কমল’ এর মতো হিট মুভি উপহার দিয়েছিলেন একটা সময় সেই রাজ কুমার যখন হেমাকে প্রথম দেখেন তখনই হেমার প্রেমে পাগল ছিলেন। সেই সময় কোন নায়িকাকে তিনি ফিল্মে নেবেন আর কাকে নেবেন না তা স্থির করতেন রাজ কুমার নিজেই। এহেন, সে সময় ইন্ডাস্ট্রির নবাগত নায়িকা ছিলেন হেমা মালিনি।
১৯৭১ সালের ফিল্ম ‘লাল পাথর’ সিনেমাতে রাজ কুমারের বিপরীতে থাকার কথা ছিল বৈজয়ন্তীমালার। সব ঠিকঠাক হওয়ার পর রাজ কুমার বেঁকে বসেন। তিনি জিদ ধরেন এই সিনেমায় হেমাকে নেওয়া হোক। পরবর্তীতে এই সিনেমায় হেমা মালিনী কাজ করেন।
শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই হেমাকে খুব ভালো লেগে যায় রাজ কুমারের। তাই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরই তাঁকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন রাজ কুমার। কিন্তু সেদিন ড্রিম গার্ল উত্তর হিসেবে রাজ কুমারকে দেন ভাললাগা আর ভালবাসা তাঁর কাছে সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি কেবল মাত্রই রাজকুমারের অভিনয়ের ভক্ত, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে নিয়ে এগনোর কথা ভাবেননি তিনি। অবশ্য সব শেষে প্রথম প্রেম ধর্মেন্দ্রর কথাও নিজের মুখে স্বীকার করেছিলেন ড্রিম গার্ল। এরপরেই রাজ কুমারের থেকে সরে আসেন হেমা।