পেঁপের বীজে রয়েছে হাজারো গুন, একবার জানলে আর কখনোই ফেলতে চাইবেন না
কাঁচা হোক পাকা, নিত্যদিনের ডায়েটে পেঁপে (Papaya) রাখা খুবই উপকারী। সবজি হিসেবে এবং ফল দুই হিসেবেই পেঁপের গুণাবলী অনেক। পেঁপে খাওয়া যে কত উপকারী তা তো অনেকেই জানেন, খেয়েও থাকেন। কিন্তু পেঁপের বীজও (Papaya Seed) যে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব উপকারী তা কি জানতেন? খেতে একটু তেতো স্বাদের হলেও পেঁপের বীজের গুণাগুণ সম্পর্কে শুনলে রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন।
পেঁপের মতো পেঁপের বীজের মধ্যেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এই বীজ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেঁপের বীজের মধ্যে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে যা মেটাবলিজম বাড়ায়। এর ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। তাই কেউ যদি ডায়েটে থাকেন তাহলে পেঁপের বীজ খেতেই পারেন। পেঁপের বীজের মধ্যে রয়েছে Carpaine এবং ফাইবার। এই দুই উপকরণই হজমশক্তি বাড়ায়, বদহজমের সমস্যা দূর করে। উপরন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও তা দূরীভূত করে পেঁপের বীজ।
অনেকেই জানেন, ভিটামিন সি আমাদের শরীরের পক্ষে কতটা প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিনের অনেক গুণের পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। মহিলাদের ঋতুকালীন সমস্যায় অনেক উপকারী পেঁপের বীজ। পিরিয়ডসের প্রচণ্ড ব্যথা কমে যায় এই বীজ খেলে।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে খাবেন পেঁপের বীজ? আগেই বলেছি পেঁপের বীজের স্বাদ তেতো। মূলত স্যালাডের মধ্যে খেতে পারেন এই বীজ। কিংবা ফলের স্মুদি বানানোর সময়েও দিতে পারেন পেঁপের বীজ। এছাড়াও ফ্রুট স্যালাডের স্বাদ বাড়াতে পেঁপের বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে দিতে পারেন। ফ্রুট স্যালাডও খাওয়া হল আর পেঁপের বীজের গুণও যুক্ত হল ডায়েটে। তবে জানিয়ে রাখি, পেঁপের বীজে যতই গুণাগুণ থাকুক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো খাবারই নিয়মিত ডায়েটে যোগ করা উচিত নয়। তাই চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই খাবেন পেঁপের বীজ। চিকিৎসক কিংবা ডায়েটিশিয়ান যদি সবুজ সংকেত দেন তবে ডায়েটে যোগ করতে পারেন পেঁপের বীজ। অচিরেই টের পাবেন এই বীজের উপকারী ক্ষমতার প্রভাব।