তনুজা যার পরিচয় দিতে গেলে এখন সকলে কাজলের মা হিসেবেই আগে দেখেন, কিন্তু একটা সময় তিনি দাপিয়ে বলিউডে অভিনয় করেন। যদিও বাংলাতেও জমিয়ে অভিনয় করেছিলেন একটা সময়। আজও এন্টনী ফিরিঙ্গী (বাংলা), দেয়া নেয়া, তিন ভুবনের পারে (১৯৬৯), প্রথম কদম ফুল, রাজকুমারী সিনেমা দেখলে তনুজা অপূর্ব অভিনয় ফুটে ওঠে চোখের সামনে। একটা সময় বড় বোন নুতনের সাথে হামারি বেটি (১৯৫০) ছবিতে ‘বেবি তনুজা’ নামের চরিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বহু সিনেমায় তাকে দেখা যায়।
View this post on Instagram
এত ভালো অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নাকি কাদতে পারতেন না। অথচ এদিন সুপার ড্যান্সার ৪ এ এসে কেঁদে ভাসলেন। একের পর এক টিস্যু খরচ করে কাদলেন। শিল্পা শেঠি একের পর এক টিস্যু দিয়ে যাচ্ছেন, মঞ্চে উপস্থিত প্রতিযোগীরা এসে তনুজাকে নিয়ে নাচ করে মনোরঞ্জন করেছেন। এর পরেই আপ্লুত তনুজা কেঁদে ওঠেন। কারণ জানতে চাইলে পুরোনো স্মৃতি তুলে ধরেন। ঠিক এরই মাঝখানে শিল্পা শেঠি হাসানোর জন্য বলেন আপনি নাকি একটা সময় কাদতে পারতেন না। তখনই তনুজা এক গেল হাসতে হাসতে পুরোনো স্মৃতি তুলে ধরলেন।
এটা সত্যি যে তনুজা নাকি একটুও কাদতে পারতেন না। সারাক্ষণ মজা আড্ডা হাসি এসবই ছিল তার চেনাজানা ছন্দ। একবার একটি ছবির শ্যুটিং চলছিল, ছবিটির নাম ‘হামারি ইয়াদ আয়েগি’ । এই ছবিতে তনুজাকে কোনো একটি সিনে কাঁদতে হবে। সেদিন তিনি কাদতে পারছিলেন না। কাদতে গেলেই তিনি হেসে ফেলছিলেন। পরিচালক বারবার শট রেডি করছেন আর বারবার তা নষ্ট হচ্ছে।
এরপর পরিচালক কিদর শর্মা তনুজার কাছে কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান যে কাদতে তিনি পারবেন না। ব্যাস এরপর কষিয়ে চড় খান তনুজা। রাগে, লজ্জায় অপমানে কাদতে কাদতে মায়ের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান। তনুজার মা শোভনা সমর্থ ছিলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী। মা সব শুনে আরেকটা চড় দেন, এরপরেই হুকুম ওই শ্যুটিং স্পটে ফেরত যেতে হবে। ব্যাস, ফিরেও যান আর দুর্দান্ত শট দেন। এমনই মজার ঘটনা শেয়ার করতে করতে হয়েছে ফেলেন তনুজা।