BollywoodHoop PlusHoop Video

Amitabh Bachchan: আরাধ্যার রাগ ভাঙাতে যা করেন অমিতাভ

জন্মের আগে থেকেই খবরের শিরোনামে আরাধ্যা বচ্চন (Aradhya Bachchan)। এর অন্যতম কারণ সে অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) ও জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)-এর নাতনি এবং অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)-এর কন্যা। তার জন্মের আগে ঐশ্বর্যর অনুরাগীদের মধ্যে বেটিং-ও চলেছিল। আরাধ্যার জন্মের পর থেকেই মায়ের কোলে চড়ে তাকে দেশে-বিদেশে ঘুরতে দেখা গেছে। বর্তমানে সে স্কুলে পড়ে। মিডিয়ার নজরে এসেছে তার হাঁটার ধরনও। আরাধ্যার হাঁটার ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের একাংশ বলেছিলেন, আরাধ্যার পা বাঁকা। কিন্তু আদতে তা নয়। আরাধ্যা অত্যন্ত দুষ্টু। এয়ারপোর্টে ইচ্ছাকৃত সে মিডিয়ার সামনে ওই ভাবে হেঁটেছে। তবে আরাধ্যা রেগে গেলে তার মান ভাঙাতে পারেন শুধুমাত্র বিগ বি।

বর্তমানে আবারও ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র সঞ্চালক হিসাবে দেখা যাচ্ছে অমিতাভকে। সম্প্রতি তাঁর সামনে হট সিটে বসেছিলেন দেরাদুনের মেয়ে বৈষ্ণবী কুমারী (Vaishnavi Kumari)। ‘কেবিসি’-র মঞ্চে এখনও অবধি তিনিই সবচেয়ে ছোট প্রতিযোগী। দেরাদুনের বাসিন্দা বৈষ্ণবী পেশার কারণে থাকেন দিল্লিতে। তিনি একজন কন্টেন্ট রাইটার। কোরিয়ান ড্রামা ও জাপানিজ মাঙ্গা তাঁর লেখার বিষয়। অমিতাভ ‘কেবিসি’-র মঞ্চে শুধুমাত্র সঞ্চালনা করেন না, মঞ্চকে করে তোলেন ঘরোয়া। স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন প্রতিযোগীরাও।

বৈষ্ণবীর দিকে প্রশ্নবাণ ছোঁড়ার ফাঁকেই অমিতাভ বলেন, তিনি কোরিয়ান বা জাপানি ভাষা জানেন না। ফলে তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। এমনকি অমিতাভ বলেন, তাঁর আগামী ফিল্মের প্রোমোশন বৈষ্ণবীকে করতে। বৈষ্ণবী হেসে ফেলেন। তিনি বলেন, অমিতাভ বচ্চনের নামই যথেষ্ট কোনো ফিল্মের জন্য। আলাদা করে প্রোমোশনের দরকার পড়বে না। এরপর বৈষ্ণবী, অমিতাভকে জিজ্ঞাসা করেন, এত টাইট শিডিউলের মাঝে তিনি কি করে আরাধ্যার জন্য সময় বার করেন!

অমিতাভ বলেন, আরাধ্যা সকালে স্কুলে চলে যায়, তিনিও কাজে চলে আসেন। স্কুল থেকে আরাধ্যা ফিরলে তার মা ঐশ্বর্য (Aishwarya Rai Bachchan) আরাধ্যাকে পড়াতে বসান। অপরদিকে অমিতাভের ফিরতে রাত হয়ে যায়। ফলে আরাধ্যার সাথে সেভাবে দেখা হয় না। কিন্তু অমিতাভ ধন্যবাদ জানিয়েছেন টেকনোলজিকে। কারণ দাদু ও নাতনি প্রায়ই ফেসটাইমে কথা বলেন। তবে আরাধ্যা দাদুর উপর রেগে গেলে অমিতাভকে তার পছন্দের গোলাপি হেয়ারব্যান্ড অথবা ক্লিপ উপহার দিতে হয়। গোলাপি রঙ আরাধ্যার খুব প্রিয়। তাই সে অত্যন্ত খুশি হয়। এভাবেই গড়ে ওঠে দাদু-নাতনির স্নেহ ভরা মুহূর্ত।