সম্বল শুধু স্মৃতি, ঐন্দ্রিলা হীন পুজো কেমন কাটল সব্যসাচীর?
মানুষ চলে যায়, রয়ে যায় স্মৃতিগুলো। অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) না থাকার এক বছর পূর্ণ হতে চলল। গত বছর নভেম্বর মাসেই চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন তিনি। একা করে দিয়ে গিয়েছেন মনের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরীকে (Sabyasachi Chowdhury)। এ বছর পুজোয় সারা শহর সেজে উঠলেন সব্যসাচীর জীবন জৌলুসহীন। সব আনন্দ, হাসি নিজের সঙ্গে করে নিয়ে চলে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা।
গত বছরও পুজোটা একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন তাঁরা। পরিবার, সব্যসাচীর সঙ্গে সেজেগুজে আড্ডা, প্যান্ডেল হপিংয়ে মেতে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। ‘পরের বছর আবার হবে’, এমনটাই লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু ঐন্দ্রিলা কি আর জানতেন, আগামী বছর দুর্গাপুজোর রোশনাই দেখার জন্য তিনি আর থাকবেন না? ঐন্দ্রিলার অবর্তমানে সব্যসাচী নিজেকে আরোই গুটিয়ে নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এক বছর আগেই বিদায় নিয়েছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমেও বিশেষ বক্তব্য রাখতে শোনা যায় না তাঁকে। কিন্তু সব্যসাচী কেমন আছেন তা জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন সকলেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সব্যসাচী বলেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট ঘটনার পরে আর কোনো মানুষ এক রকয় থাকতে পারে না। তার একটা অংশও হারিয়ে যায় ওই মানুষটার সঙ্গে। বাকি অংশটায় প্রলেপ পড়লেও হারিয়ে যাওয়া অংশটা ফিরে পাওয়া কঠিন। নিজের কথা, ক্ষণিকের নীরবতা বুঝিয়ে দিয়েছে ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া তাঁর জীবন কতটা বদলে গিয়েছে।
গত বছর পুজোর সময়েই বন্ধু সৌরভ দাসের সঙ্গে মিলে নতুন একটি ক্যাফে শুরু করেছিলেন সব্যসাচী। সেই ক্যাফের উদ্বোধনের দিন থেকেই সঙ্গী ছিলেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর অসুস্থতার সময়ে নাওয়া খাওয়া বন্ধ রেখে হাসপাতালে বসেছিলেন সব্যসাচী। নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে সবকিছু করেছেন মনের মানুষটাকে নিজের কাছে ধরে রাখার জন্য। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। এখন ‘রামপ্রসাদ’ সিরিয়ালে তিনি অভিনয় করছেন বটে, কিন্তু মুখ থেকে হাসিটাই হারিয়ে গিয়েছে সব্যসাচীর। আগের থেকে এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছেন তিনি।