এতদিন শোনা যেত, জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan) ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)-এর মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা লড়াই। কিন্তু এবার অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)-এর গলায় শোনা গেল অন্য সুর।
অভিষেক বলেছেন, জয়া ও ঐশ্বর্যর সম্পর্ক শাশুড়ি-বৌয়ের মত নয়। বরং তাঁরা দুজনে খুব ভালো বন্ধু। অভিষেক জয়াকে যখন জানিয়েছিলেন, তিনি ঐশ্বর্যকে বিয়ে করতে চান, তখন জয়া খুব খুশি হয়েছিলেন। জয়া নিজেও জানিয়েছেন, ঐশ্বর্য একজন বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও বচ্চন পরিবারে বৌ হয়ে এসে খুব সুন্দর মানিয়ে নিয়েছেন। তবে কোনোদিন কিন্তু ঐশ্বর্য ও জয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা দেখা যায়নি।
অথচ অভিষেক বলেছেন, ঐশ্বর্যর সঙ্গে যখন তাঁর ঝগড়া হয়, তখন জয়া ও ঐশ্বর্যর টিম-আপ হয়ে যায়। অভিষেক যাতে তাঁদের কথা না বুঝতে পারেন, তার জন্য জয়া ও ঐশ্বর্য অনর্গল বাংলায় কথা বলেন। জয়া নিজে বাঙালি। জয়া একাধিক বাংলা ফিল্মে কাজ করেছেন যেখানে তাঁকে বেশ ভালো বাংলা বলতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ঐশ্বর্য কি করে বাংলা শিখলেন? অভিষেক বলেছেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ (Rituparno ghosh) পরিচালিত ফিল্ম ‘চোখের বালি’-তে অভিনয়ের সময় ঐশ্বর্য নাকি বাংলা শিখেছিলেন। কিন্তু অভিষেকের এই দাবি কতটা সত্যি তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ ‘চোখের বালি’-তে ঐশ্বর্যর বাংলা ডাবিং করেছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী (sudipta chakraborty)। সেই সময় ঐশ্বর্য প্রেস কনফারেন্সে ‘চোখের বালি’-র নামটি ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারেননি। সুতরাং পারিবারিক অশান্তিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অভিষেক জয়া ও ঐশ্বর্যর কাহিনী বলছেন, এই সম্পর্কে দ্বিমত নেই।
এই মুহূর্তে লকডাউন চললেও লকডাউনের আগে অবধি ঐশ্বর্য ও অভিষেক দুজনেই বিভিন্ন ফিল্মের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ইতিমধ্যেই অভিষেক বচ্চন অভিনীত ‘দি বিগ বুল’ বছরের প্রথম ব্লকবাস্টার হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। এছাড়া সুজয় ঘোষ (sujay ghosh)-এর কন্যা দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ (Diya Annapurna ghosh)-এর আগামী ফিল্ম ‘বব বিশ্বাস’-এ নামভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিষেক। অনুরাগ কাশ্যপ (Anurag kashyap)-এর আগামী ফিল্ম ‘গুলাব জামুন’-এ অভিষেক ও ঐশ্বর্য দুজনেই অভিনয় করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
