বন্ধ হবে ট্রাফিক পুলিশের দাদাগিরি, অযৌক্তিক চালানের হাত থেকে রেহাই পাবেন এই পদ্ধতিতে
বর্তমানে বহু মানুষের কাছেই রয়েছে দু চাকা বা চার চাকার গাড়ি। দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনে নিজস্ব একটি বাহন থাকলে সময়ও বেঁচে যায় অনেকটা। সেই ভাবনা থেকেই বেশিরভাগ মানুষ গাড়ি, বাইক কিনে থাকেন। তবে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলে সতর্ক থাকতে হয় বিভিন্ন ট্রাফিক আইনের ব্যাপারে। একটু ভুলচুক হলেই ভয় থাকে ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police)। আর পুলিশের হাতে ধরা পড়া মানেই জরিমানার ধাক্কা।
তবে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন, বিনা কারণেও ট্রাফিক পুলিশ চালান কেটে থাকে। বিনা কারণে জরিমানা আদায় করার অভিযোগ প্রায়ই উঠে থাকে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে এবার এই ধরণের ঘটনা ঘটলে তা থেকে রেহাই পাবেন কীকরে তা জেনে নিন। ট্রাফিক পুলিশ যদি বিনা কারণে জরিমানা আদায় করে থাকে তবে দ্বারস্থ হতে পারেন লোক আদালতের। মূলত অনেকদিন ধরে যে মামলাগুলি স্থগিত হয়ে রয়েছে সেগুলির সমাধান লোক আদালতে করা হয়ে থাকে। ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিস অথরিটির মাধ্যমে এখানে শুনানির দিন ঠিক করা হয়।
ট্রাফিক পুলিশ বিনা কারণে চালান কাটলে তার বিচারের দাবিতে লোক আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায়। লোক আদালতের ট্রাফিক হেল্প ডেস্কে গিয়ে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর জমা দিতে হবে। তাহলেই জানা যাবে যে গাড়ির বিরুদ্ধে কোনো অমীমাংসিত চালান আছে কিনা।
লোক আদালতে আবেদনের জন্য দরকার হবে চালান সংক্রান্ত সমস্ত নথি, পুলিশের নোটিশ বা কথোপকথন সংক্রান্ত প্রমাণ। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, লোক আদালতে আবেদন করলেই যে জরিমানা মকুব হয়ে যাবে এমনটা নয়। লোক আদালতে অযৌক্তিক জরিমানার বিষয়টি প্রমাণিত হলেই মকুব করা হবে জরিমানার টাকা।