Lifestyle: এক টাকাও খসবেনা, বাড়ি থেকে সহজেই দূর করুন মশা, মাছি, টিকটিকি
বর্ষাকাল মানে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া একেবারে ছেয়ে গেছে। তবে এই মুহূর্তে তাড়ানোর জন্য আমরা অনেক সময় কয়েল জ্বালায়, এই ধরনের জিনিসগুলো কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়, তাই বাড়িতে থাকা কয়েকটা জিনিস ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র মশা, মাছি নয়, এই সময় বেড়ে যায় নানান রকমের পোকামাকড়ের উপদ্রব।
এছাড়া বাড়িতে কিন্তু অনেক সময় আমরা দেখে থাকি মশা মাছির সঙ্গে উপদ্রব বেড়ে যায় টিকটিকির। টিকটিকি কিন্তু ভীষণ বিষাক্ত তাই টিকটিকি বাড়িতে থাকা একেবারেই ভালো না বিশেষ করে বাড়িতে যদি বাচ্চা থাকে, তাহলে টিকটিকির উপদ্রব হলে মেনে চলতে পারেন এই ঘরোয়া উপাদান গুলি।
১) লেবু লবঙ্গের ব্যবহার – প্রথমে পাতিলেবুকে অর্ধেকটা টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তারপরে অর্ধেকটা টুকরো করে লবঙ্গকে গেঁথে গেঁথে লাগিয়ে ফেলুন। একটি থালার মধ্যে লেবুগুলো সাজিয়ে ঘরের কোনায় রেখে দিন। দেখবেন মশার উপদ্রব অনেকটা কমে গেছে। ২) নিম তেলের ব্যবহার – মশা তাড়ানোর জন্য নিমের তেল ব্যবহার করতে পারেন এছাড়া নিমের তেল যদি গায়ে ভালো করে লিখে ফেলতে পারেন তাহলে কিন্তু মশার উৎপাত থেকে বেঁচে যাবেন। ৩) পুদিনার ব্যবহার- একটি গ্লাসের মধ্যে জল দিয়ে ভর্তি করতে হবে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটা পুদিনাপাতা রেখে দিতে হবে। তিন চার দিন অন্তর অন্তর জল বদলে নিন। এই পাতার গন্ধ চলে যাবে মশা। তবে শুধু মশা নয়, অন্যান্য পোকামাকড়ও চলে যেতে পারে।৪) কালো, নীল ও লাল কাপড় পড়বেন না – মশারা কিন্তু কালো, নীল এবং লাল কাপড় খুব পছন্দ করেন। তাই এই ধরনের পোশাক আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। তার থেকে বরং হালকা রঙের পোশাক বেছে নিন। তাতে কিন্তু অনেকটা মশা আপনার থেকে দূরে থাকবে।৫) কর্পূর এর ব্যবহার – কর্পূর এর উগ্রগন্ধে মশা একেবারে পালিয়ে যাবে। ৫০ গ্রামের একটি কর্পূর এর ট্যাবলেট একবাটি জলের মধ্যে ভর্তি করে রেখে দিন। দেখবেন, ঘরের কোণ থেকে বাসারা ঘরের মধ্যে তখনই মশা একেবারে গায়েব হয়ে গেছে। এরপর দু-তিনদিন অন্তর অন্তর এই জলকে পরিবর্তন করুন। তবে আগের সব জল ফেলে দেবেন না। সেই জল কিন্তু আপনি ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
মাছি তাড়ানোর উপায় :1) ফল ও ভিনিগার- কোন একটা পাকা ফলের সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন, এই গন্ধ মাছির এরপর একটি সরু মুখের বোতল রেখে দিন এই ফলের রস আর ভিনিগারের মিশ্রণ। তার মধ্যে দেখবেন খুব সহজেই এই মাছিরা পড়ে যাচ্ছে। 2) কর্পূর- কর্পূরের গন্ধ, মাছি একেবারে সহ্য করতে পারে না তাই যেখানে যেখানে মাছের উপদ্রব হয়েছে, সেখানে কর্পূর সামান্য হাতে গুঁড়ো করে দিয়ে দিতে পারেন, এছাড়াও কর্পূর আপনি যখন ঘরে ধুনো দেন, তখন তার মধ্যে কয়েক টুকরো করব ফেলে দিতে পারেন।3) শসা- শসার মাঝে একেবারেই সহ্য করতে পারে না, তাই মাছি তাড়াতে খুব ভালো কাজ করে শসা। শসাকে টুকরো টুকরো করে কেটে রান্নাঘরের চারিদিকে রেখে দিতে পারেন এতে সহজে মাছি চলে যাবে।
টিকটিকি দূর করুন সহজে। ১) গোলমরিচের গন্ধ টিকটিকি একদম সহ্য করতে পারে না। তাই দেওয়ালে বা যেখানে যেখানে টিকটিকির আনাগোনা বেশি সেখানে জলের মধ্যে গোলমরিচ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে সাহায্যে চারিদিকে স্প্রে করে দিন, বেশ কিছুক্ষণ পরে দেখবেন টিকটিকির আনাগোনা বন্ধ হয়ে গেছে। ২) রসুনের গন্ধ টিকটিকি সহ্য করতে পারে না, বেশ কয়েক কোয়া রসুন দিয়ে ভালো করে থেঁতো করে জলের মধ্যে গুলে নিয়ে স্প্রে বোতলের সাহায্যে স্প্রে করে ফেলুন, তাহলেই দেখবেন টিকটিকি একেবারে পালিয়ে গেছে। ৩) টিকটিকির উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন কর্পূর। কর্পূর যদি ঘরের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিতে পারেন, তাহলেও কপূরের উগ্র গন্ধে দেখা পাবেন না।