শীতে ত্বক ফেটে চৌচির! নামিদামি ক্রিম ছেড়ে বাড়িতে বানিয়ে মাখুন প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার
শীতকালে (Winter) সবকিছুতেই কেমন একটা রুক্ষ শুষ্ক ভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ত্বকের এই সময় খুব রুক্ষ ভাব দেখা যায়। ড্রাই স্কিন হলে তো কথাই নেই। অনেক সময় যথেষ্ট ময়েশ্চারাইজার মেখেও ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে আটকানো যায় না। ক্রিম মাখার কিছুক্ষণ পরেই মুখ যে কে সেই রুক্ষ হয়ে পড়ে। এছাড়া বাজারজাত ময়েশ্চারাইজারে বেশিরভাগ সময়ই কেমিক্যালের ভাগ বেশি থাকায় ক্রিম মাখার পর মুখে কালচে ভাব দেখা যায়। এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
জানলে অবাক হবেন, প্রতিদিনের ব্যবহার্য্য কিছু জিনিসই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসু ব্যবহার করা যায়। এগুলি ত্বককে যে ভাবে আর্দ্র রাখে, তাতে শুষ্ক হওয়ার কোনো ভয়ই থাকে না! উপরন্তু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় আখেরে ত্বকেরই উন্নতি হয়। দুধের সর খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। ত্বককে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা, কালচে দাগছোপ থেকেও ত্বককে মুক্তি দেয়।
নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়। মুখের পাশাপাশি চাইলে হাতে পায়েও মাখা যায় এটা। অ্যালোভেরার গুণাগুণের কথা তো সকলেই জানেন। এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং ত্বককে আর্দ্র রাখতে খুবই সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও দূর করে।
শীতে অনেকেই অলিভ অয়েল মাখা পছন্দ করেন। এটি খুব ভাল ভাবে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে। অলিভ অয়েল মেখে রাতে ঘুমাতে গেলে সারা রাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে আর সমস্যাগুলিও দূর হয়। গ্লিসারিন শুধু সাবানে ব্যবহার না করে লিকুইডও ব্যবহার করা যায়। ত্বকের কোনো অংশ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে গ্লিসারিন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। স্নানের ১৫-২০ মিনিট আগে মধু ভালো করে মেখে উষ্ণ জলে স্নান করলে ত্বক থাকবে আর্দ্র এবং কোমল।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।