Hair Care: চুল পড়া থেকে খুশকি, সব সমস্যার সমাধান রয়েছে চাল ধোয়া জলে, এইভাবে করুন ব্যবহার
চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন চাল। আর এই চাল দিয়েই আপনার চুল হবে। ভীষণ সুন্দর লম্বা এবং কুচকুচে কালো, চাল আমাদের ত্বক এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। এটি যদি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনাকে আর কোনো চিন্তাই করতে হবে না। কোরিয়ান রূপচর্চায় চালের ব্যবহার কিন্তু আমরা প্রচুর পরিমাণে দেখতে পাই, কি ত্বকের পরিচর্যা, কি চুলের পরিচর্যা, সমস্ত কিছুতে চাল ভীষণ উপকারী।
প্রথমেই আপনাকে করতে হবে, যে কোনো ভালো চাল নিয়ে নিতে হবে। সারারাত্রি সেই চাল জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনার চুল যতটা ততটা পরিমাণ জল নিতে হবে। লম্বা চুল হয়, তাহলে এক কাপ চাল দিতে হবে, এক লিটার জল নিতে হবে। ছোট চুল হলে সেই অনুযায়ী জল এবং চালের পরিমাণ কমাতে হবে। চুলকে সিল্কি করতে সকলেরই ভালো লাগে, কিন্তু সেটা যদি চালের জল দিয়ে হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই, বাইরে থেকে আর কোনো রকম কেমিক্যালযুক্ত কিছু কিনে আনতে হবে না।
চালের জল চুলকে অনেক বেশি সুন্দর করে। যারা চাইছেন চুলকে অনেক বেশি সহজে লম্বা, কালো, কুচকুচে করতে তাহলে কিন্তু তারা চালের জল ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অতিরিক্ত চালের জল ব্যবহার করলে চুল অনেক বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে, সেক্ষেত্রে চালের জলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল বা ফ্রেশ জেল ব্যবহার করে নিতে পারেন।
এছাড়া চালের এই জলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে নারকেল তেল, পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সেটাকে ভালো করে মাথায় মাসাজ করতে পারেন। শ্যাম্পু করার আগে বা শ্যাম্পু করার পরে এটা ব্যবহার করুন। তারপরে আরেকবার শ্যাম্পু করে নিন। এই শীতকালে যাদের চুলে প্রচন্ড পরিমাণে খুশকির সমস্যা হয়, তারা কিন্তু এটা ব্যবহার করুন।
তাহলেই দেখবেন চুল একেবারে কালো কুচকুচে সুন্দর হয়ে যাবে, বিশেষ করে শীতকালে অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন, তারা কিন্তু এভাবে ব্যবহার করতে পারেন। মোটামুটি ছয় সাত বছরের বাচ্চাদের চুলও কিন্তু এই চালের জল ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে দামি চাল ব্যবহার করাই ভালো।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।