প্রাক্তনের হাত থেকে স্ত্রীকে বাঁচাল বর্তমান স্বামী, সাহসী দৃশ্যে ভরপুর এই শর্টফিল্ম
এস.কে.প্রোডাকশন 2010 নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নন্দা মোদক (Nanda Modak) পরিচালিত বাংলা শর্ট ফিল্ম ‘নারী পাচার’ আপলোড হয়েছিল 2022 সালের 16 ই এপ্রিল। কিন্তু এখনও অবধি এই শর্ট ফিল্মটির ভিউ মাত্র উনিশ হাজার অতিক্রম করেছে। শর্ট ফিল্মটির শুরুতে দেখা যায়, একজন পুরুষ তার ল্যাপটপে কাজ করছে। এই সময় তার কাছে আসে এক বন্ধুর ফোন। পুরুষটি তার বন্ধুকে বলে, অবশেষে এতদিন পর তাকে ওই বন্ধুর মনে পড়েছে! কিন্তু ওই পুরুষটি তার বন্ধুকে ফেসবুকে স্টক করে। বন্ধু যখন বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন ওই পুরুষটি দিচ্ছে একের পর এক চাকরির ইন্টারভিউ।
কথায় কথায় জানা যায়, তার বন্ধু স্কুল শিক্ষক। কিন্তু ওই পুরুষটি এখনও চাকরি পায়নি। ফলে তার বিয়েও হয়নি। পুরুষটির কথা শুনে মনে হয়, তার মধ্যে কাজ করছে হীনমন্যতা। এমন সময় দরজায় টোকা পড়ে। পুরুষটি দরজা খুলতেই ঘরের মধ্যে দৌড়ে ঢোকে একটি মেয়ে। সে পুরুষটিকে বলে তাকে বাঁচাতে। পুরুষটি তাকে ঘরের মধ্যে বসায়। এগিয়ে দেয় জলের বোতল। ওই মহিলা তাকে বলে, তার স্বামী অন্য এক ব্যক্তির কাছে তাকে বেচে দিয়েছে। মেয়েটি ওই লোকটির চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে এসেছে। পুরুষটি ওই মহিলাকে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিলে মহিলাটি বলে, পুলিশও ওদের সাথে মিশে আছে।
ওই পুরুষটি তাকে ঘরে বসিয়ে বাজার থেকে খাবার কিনে আনতে যায়। কেউ ডাকলে ওই মহিলাকে দরজা খুলতে বারণ করে সে। ওই পুরুষটি বাজার করে ফেরার পথে তার কাছে পুলিশের ফোন আসে। তার কাছে পুলিশ জানতে চায়, তার বাড়িতে কোনও মেয়ে উঠেছে কিনা! পুরুষটি তাকে মিথ্যা বলে। সে বলে, কোনো মেয়ে তার বাড়িতে আসেনি। পুলিশের পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ফোনের ওপার থেকে তাকে বলে, যদি কোনো মেয়ে তার কাছে আসে, তাহলে যেন পুরুষটি তাকে ফোন করে। এরপর পুরুষটি ওই মেয়েটিকে পুলিশের ফোনের কথা জানালে মেয়েটি জিজ্ঞাসা করে, পুরুষটি কি তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিচ্ছে না! ওই পুরুষটি তার কথায় আমল না দিয়ে বলে তাকে রান্নায় সাহায্য করতে।
একসময় দেখা যায়, মেয়েটিকে বিয়ে করেছে ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাদের জীবনে ফিরে আসে মেয়েটির প্রাক্তন স্বামী। সে মেয়েটিকে দাবি করে। কিন্তু মেয়েটির বর্তমান স্বামী তাকে রক্ষা করে ও মাথা উঁচু করে বাঁচতে শেখায়।