Hoop NewsHoop Trending

Kolkata Airport: গোপনাঙ্গে লুকিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা, কলকাতায় আটক তরুণী

বাস্তবে ঘটনাক্রম একটু অন্যরকম হলেই মানুষ বলতে শুরু করেন, “একদম সিনেমার মতো”। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল, সিনেমার কাহিনীতে কিছুটা হলেও মিশে থাকে বাস্তব। বাস্তব ও সিনেমা একে অপরের পরিপূরক। বহুদিন আগেই একটি সার্ভেতে প্রমাণিত হয়েছিল অপরাধজগতেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনুকরণ করা হয় সিনেম্যাটিক স্টাইল। এমনকি দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)-এর ‘ডি’ কোম্পানিও এর উর্ধ্বে নয়। তবে কয়েকদিন আগের একটি ঘটনা রীতিমত চমকে দিয়েছে এনসিবি-কে।

তাইওয়ান থেকে এক মহিলা বিমানযাত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। বিমান থেকে নামার পর তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ার ফলে এনসিবি-র গোয়েন্দারা ওই মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু ওই মহিলা কোনো প্রশ্নের জবাব না দেওয়ার ফলে তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁর মেডিক্যাল চেক-আপের সিদ্ধান্ত নেন। মেডিক্যাল চেক-আপের সময় কার্যতঃ ঘটে চমকে দেওয়া ঘটনা। জানা যায়, ওই মহিলার যৌনাঙ্গে লুকানো রয়েছে কিছু জিনিস। সার্জারির সাহায্যে তা বার করা হলে দেখা যায়, যৌনাঙ্গের মধ্যে তিনটি ছোট প‍্যাকেটে রাখা ছিল মাদক। জানা গিয়েছে, ওই মাদকের দাম ভারতীয় মূদ্রা অনুসারে প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। তবে এর আগেও ঘটেছে এইরকম ঘটনা।

এই ঘটনার কেন্দ্রও ছিল কলকাতা বিমানবন্দর। একজন বিদেশি যাত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে নামলে তাঁর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে আটক করে এনসিবি। ওই যাত্রীর মেডিক্যাল চেক-আপের সময় শরীরে অস্বাভাবিক বস্তুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে ওই যাত্রীর মলদ্বার থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক। এর আগে গালে ও যৌনাঙ্গে মিলেছিল হীরে।

সাধারণতঃ মহিলাদের শরীরকে পাচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেখা গেছে। মানবশরীরের মাধ্যমে বেআইনি দ্রব্য পাচার করলে মেডিক্যাল চেক-আপ ছাড়া তা বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু বেআইনি দ্রব্য পাচার চক্রের খোঁজ করার আগে জানা দরকার, এই মহিলারা আসছেন কোথা থেকে? কেনই বা তাঁরা তাঁদের শরীরের মাধ্যমে মাদক বা হীরে পাচারে রাজি হচ্ছেন? কারণ এই ধরনের দ্রব্য শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে পাচার করলে অনেক সময় তা থেকে সেপ্টিসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু কেনই বা এই মহিলারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এই কাজে রাজি হচ্ছেন? সম্ভবতঃ মহিলাদের ভয় দেখিয়ে অপারগ করে এই ধরনের কাজে রাজি করানো হচ্ছে। তবে আপাতত এই রহস্য ফাঁস করতে সার্জেনদের সাহায্য চাইছে এনসিবি।

whatsapp logo