পাবলিক প্লেসে মহিলাদের হেনস্থা কোনো নতুন ঘটনা নয়। গ্রাম, মফস্বল থেকে শহর এমনকি বড় শহরে প্রায়ই ঘটে থাকে এমন ঘটনা। স্কুল-কলেজ-অফিস ফেরত তরুণী বা যুবতীদের যেমন এসবের শিকার হতে হয় প্রায়ই, তেমনই আবার এসব হেনস্থার শিকার হয়ে থাকেন তারকারাও। অনেকেই চেপে যান এসব বিষয়কে। তার প্রধান কারণ হল ইমেজ ও পাবলিসিটি খারাপ হওয়ার ভয়। আর এই ভয়কে কাজে লাগিয়েই অনায়াসে এসব অসাধু কাজকর্ম করে যান বিকৃতমনস্ক কিছু মানুষ। তবে এবার এমনই এক ঘটনাকে চেপে গেলেন না গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty), বরং প্রকাশ্যে বললেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।
জানা গেছে, বাস্তবিক জীবনে ফিট থাকার জন্য প্রায়ই শরীরচর্চা করেন গায়িকা। আর এই বসন্তের সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলা অনেকেরই অভ্যেস। গায়িকার ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই। তাই রোজ সন্ধ্যায় স্বামী নীলাঞ্জন সহ একাধিক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন ব্যাডমিন্টন কোর্টের উদ্দেশ্যে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেও খেলতে গিয়েছিলেন তারা। খেলে ফেরার সময় ঘটে এমন ঘটনা। জানা গেছে, খেলাধুলা শেষে ফেরার রাস্তায় একটি ফলের দোকানে দাঁড়িয়ে ফল কিনেছিলেন তারা। আর সেই সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক নাকি ফলের সঙ্গে তার শরীরের নানা অঙ্গের তুলনা টেনে কটূক্তি করতে শুরু করে। এমনকি সে নানা শারীরিক ইশারাও করে। শুরু হয় গায়িকা ও তার মহিলা বন্ধুদের শ্লীলতাহানি।
আর এই ঘটনার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয় গায়িকাকে। তার মেজাজও নিতান্ত গরম হয়ে যায়। তাই সেখান থেকে বাড়ি না ফিরে সোজা গায়িকা যান রিজেন্ট থানায়। আর সেখানে গিয়ে ওই অশালীন যুবকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যৌন নিগ্রহ সহ শ্লীলতাহানি এবং আরো একাধিক অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে পুলিশ। আর সেইমতো শুরু হয় পুলিশের ‘একশন’। জানা গেছে, গতকাল রাতেই অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
আর এই বিষয়টিকে আরো বেশি করে ছড়িয়ে দিতে অভিনেত্রী একটি ফেসবুক লাইভ করেন বাড়ি ফিরে। সেই ফেসবুক লাইভে তাকে ঘটনাবলী বলতে শোনা যায়। অভিনেত্রী বলেন, “আমরা মেয়েরা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করি। রাস্তার বেরোই। আমার বোন অফিসে যায়। এ সব বিকৃত মানসিকতার লোকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করলে অন্যায় করতাম। এই ঘটনার পর সকলের কাছে আমার একটাই অনুরোধ যে, এমন দেখলে প্রতিবাদ করুন। প্রশাসনকে জানান। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। সাহস করে বেরিয়ে আসুন শুধু।”