চলতি বছরে বিয়ে হয়েছে ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)-র সঙ্গে বিয়ে হয়েছে নীলাঞ্জন ঘোষ (Nilanjan Ghosh)-এর। সম্প্রতি ইমন এসেছিলেন ‘দিদি নং 1′-এ। ‘দিদি নং 1′-এ রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)-র প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন ইমন।
ইমনকে রচনা বললেন, গায়িকা তাঁর সাথে সব কথাই শেয়ার করেন। অতএব রচনা এখন আশায় রয়েছেন, কবে তিনি মাসি হওয়ার খবর পাবেন। কিন্তু ইমন এখন ফিটনেস নিয়ে ব্যস্ত। তিনি যোগার মাধ্যমে নিজের ওজন অনেকটাই ঝরিয়ে ফেলেছেন। তাঁর স্বামী নীলাঞ্জন যথেষ্ট ফিটনেস কনশাস। ইমন এক চামচ ভাত বেশি নিলেই তিনি ইমনকে বলেন, “আবার ভাত নিচ্ছ?” কিছু খেলেই ইমনকে নীলাঞ্জন বলেন, ইমনের লজ্জা করে না এত খেতে! এই কথা শুনে হেসে ফেলেন রচনা। তবে ইমন ভালো রান্না করতে পারেন না বলে হোম ডেলিভারির খাবার খান।
ইমন বললেন, তিনি বাড়ির যাবতীয় কাজ পারলেও রান্না করতে তাঁর ভালো লাগে না। সাড়ে ছ’টা- সাতটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠতে হয় ইমনকে। আটটার সময় তাঁর যোগা ক্লাস থাকে। ‘দিদি নং 1′ থেকে গতবার একটা ব্যাগ পেয়েছিলেন ইমন। সেই ব্যাগেই থাকে তাঁর যাবতীয় জিনিসপত্র। ইমন জানালেন, নীলাঞ্জন খুব স্ট্রিক্ট স্বামী। তিনি খেতে চাইলে নীলাঞ্জন দেন না। ইমনকে এক্সারসাইজ করতেই হয় এবং সারাদিন গান শোনান। এমনকি দার্জিলিঙ থেকে ঘুরে এসে রাত ন’টা থেকে সাড়ে এগারোটা অবধি রেওয়াজ করিয়াছেন ইমনকে। ইমনের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা এনেছেন নীলাঞ্জন।
নীলাঞ্জন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসলেও তাঁকে বলেন, আস্তে কথা বলতে, নাহলে তাঁর গলা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে বেশি কথা বললে রেগে যান নীলাঞ্জন। এমনকি হানিমুনের সময় একটি পাহাড়ি গ্রামে গিয়ে নীলাঞ্জন গান শুনছিলেন। ইমন লজ্জা পাচ্ছিলেন। শেষ অবধি তিনি বলেছিলেন, তিনি ফ্লাইটের টিকিট কেটে কলকাতায় ফিরতে চান। দার্জিলিঙে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এত গান তাঁর পক্ষে শোনা সম্ভব নয়।
নীলাঞ্জন ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। ডাক্তারি পড়া মাঝপথে ছেড়ে গান-বাজনা ভালোবেসে মিউজিক-এর দিকে চলে এসেছিলেন নীলাঞ্জন। রচনার অনুরোধে ইমন ‘নিজামুদ্দিন আউলিয়া’ গেয়ে মাতিয়ে দিলেন ‘দিদি নং 1′-এর মঞ্চ।
View this post on Instagram