Train: মাত্র ১০ ঘন্টায় হাওড়া থেকে দিল্লি, হাইস্পিড ট্রেন চালাতে এই বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেল
বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ ভারত। তাই ভারতে নিত্যদিন মানুষের যাতায়াত করতে হয় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। আর বর্তমান সময়ে ভারতীয় রেল (Indian Railways) আমাদের দেশের গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে। যাত্রী পরিবহন থেকে শুরু করে দৈর্ঘতার নিরিখে ভারতীয় রেল বিশ্বে চতুর্থ স্থান দখল করে। সুদূর জম্মু থেকে কন্যাককুমারী, আসাম থেকে রাজস্থান- সর্বত্র বিছিয়ে রয়েছে রেলের যোগাযোগ।
ভারতীয় রেলের অধীনে অনেক ধরণের ট্রেন চলে। যেমন লোকাল ট্রেনে শহর বা জেলার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে কিংবা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়া যায়, তেমনই আবার এক্সপ্রেস ট্রেনে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া যায়। এর মাঝেই আবার রয়েছে সুপারফাস্ট এবং সেমি-হাইস্পিড ট্রেনও। এককথায় ভারতীয় রেলে যেমন রয়েছে দীর্ঘ রেলপথ, তেমনই আবার রয়েছে বৈচিত্র। সব মিলিয়ে এ যেন এক বিরাট ব্যবস্থা।
এখন দেশের দ্রুততম ট্রেনের কথা বললেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও রাজধানী এক্সপ্রেসের কথা মাথায় আসে। বর্তমানে দেশের এই দুটি ট্রেন সবথেকে দ্রুতগতিতে ছুটতে সক্ষম। বর্তমানে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ছুটতে সক্ষম। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের গতি কোনোভাবেই ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার থেকে বেশি হচ্ছে না। আর এর কারণ একটাই, ট্রেনের ইঞ্জিন দ্রুততম হলেও ট্রেনের ট্র্যাক সেই গতিকে ধরে রাখার জন্য সক্ষম নয়।
তবে এবার দেশবাসীকে দ্রুতগতির ট্রেনে সফরের সুযোগ দিতে বিরাট ব্যবস্থা গ্রহণ করছে ভারতীয় রেল। জানা গেছে, এবার সর্বোচ্চ গতিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে চালানোর জন্য রেল ট্র্যাকের সংস্কার চলছে। ইতিমধ্যে, হাওড়া থেকে খানা অবধি এই বয়সেও কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, একইসঙ্গে ট্র্যাক সংস্কার ও লাইনের পাশে বেড়া দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে রেল। এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা এলেও তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এই কাজ শেষ হয়ে গেলে মাত্র ১০ ঘন্টায় হাওড়া থেকে পৌঁছানো যাবে রাজধানী দিল্লি।