ছোট পর্দার দিদি মানেই রচনা ব্যানার্জি। বাংলায় এখন দুই দিদি আছেন, এক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আর অন্যজন রচনা ব্যানার্জি – এই কথা শুনতে শুনতে তার কান পচে যাওয়ার কথা। কারণ বাংলার মানুষের কাছে এই দুইজন খুবই পছন্দের নারী। একজন একুশের নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ সংখ্যা নিয়ে বাংলার মসনদে, অন্যজন জি বাংলার মঞ্চে দর্শকদের দরবারে। অ্যাসিড আক্রান্ত মেয়ে বা ট্রান্সজেন্ডার ইসু, আদার জেন্ডার ইসু, হেলথ ইসু— সব বিষয় নিয়েই আলোচনায় বসেন রচনা। তার শোতে উঠে আসে সমাজের নানান ঘটনা এবং ইস্যু যা মানুষ খোলা পরিবেশে বলতেও পারে না। এক কথায় রচনা বহু মহিলাদের প্ল্যাটফর্ম দিয়েছেন, মাইক দিয়েছেন আর উৎসাহ।
খেলতে খেলতেই রচনা জিতে নিয়েছেন এই বাংলার মেয়েদের মন। হাসি, গল্প, খেলা আর পুরস্কারের ছোয়ায় তার শো দিদি নং ১ হয়ে উঠেছে এক জনপ্রিয় শো। কিন্তু রচনার উত্থান কি দিদি নং ১ থেকেই?
সূত্র বলছে রচনা ব্যানার্জি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সাথে প্রায় ৩৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও তিনি বেশকিছু ওড়িশ্যা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন সিদ্ধার্থ মহাপত্র-এর সঙ্গে। পরবর্তীতে যদিও এই সিদ্ধার্থ মহাপত্রকে বিয়েও করেন, কিন্তু সেই বিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত এগোয়। পরবর্তীতে প্রবাল বসুর সঙ্গে বিয়ে করেন। ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গ বাদের খাতায় রাখলে রচনা একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ অভিনেত্রী। তিনি তার অতীত জীবনে অমিতাভ বচ্চনের সাথেও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলা, তামিল, উড়িষ্যা, তেলেগু ছবি মিলিয়ে প্রায় ৮০ র কাছাকাছি মুভি করেছেন রচনা।
বর্তমানে রচনা ব্যানার্জি অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশনে একটি রিয়েলিটি শো করছেন ‘দিদি নং’ নামে জি বাংলা চ্যানেলে। আজ রচনা ‘দিদি নং ১’ (Didi No 1) দিয়েই বেশি জনপ্রিয় এবং প্রসিদ্ধ। তবে, ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর জাজ হয়ে টিভিতে ঢোকেন তিনি। ওখান থেকেই মাচায় তাকে ডাকা শুরু হল ‘রচু’ বলে। তার পর ‘দিদি নং ১’।