এবার বাংলাতেও সম্পূর্ণ লকডাউন! নবান্ন বৈঠকে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বড় মার্জিনে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছে মমতা সরকার। বিজেপি ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করলেও মাত্র ৭৭ আসনে তাদের বিজয়রথ থেমে যায়। এরপর গত বুধবার রাজভবনে তৃতীয়বারে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য শপথ গ্রহণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথগ্রহণের পর তিনি প্রথমেই বলে দিয়েছিলেন যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে করোনা নিয়ন্ত্রণ আমার প্রথম কাজ হবে। সেইমতো শপথ গ্রহণ করার পরেই তিনি নবান্নে গিয়ে বৈঠক করেন এবং একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেন। নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যে বর্তমানে লোকাল ট্রেন চলছে না এবং বাজারের সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
এরপর আজ অর্থাৎ সোমবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। মন্ত্রীসভা তৈরি করার পরই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকের পর আজ তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ লকডাউন করতে চায় না। তবে সাধারণ মানুষকে নিজে থেকে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। লকডাউন করলে সমাজের অনেক প্রান্তিক মানুষ খেতে পাবে না। কিন্তু নির্দেশ না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হবে। এবারের কোভিডের সংক্রমণ হার অনেক বেশি।”
অন্যান্য রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে এ প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, “চিন্তা করবেন না। আমাদের রাজ্য সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষপাতী নই। এখানে বহু গরিব মানুষ সমস্যায় পড়বেন। ওদের তো দিন চালাতে হবে। তারচেয়ে বরং আপনারা নিজেরা ভালোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন এবং বারে বারে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। লকডাউন না হলেও সবাইকে লকডাউন এর মত করে চলতে হবে।”
এছাড়াও তিনি একটি কেন্দ্র সরকারের ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আমরা বলছি টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে নেব এবং বিনামূল্যে আমাদের রাজ্যের মানুষকে দেব। কিন্তু ওরা ভ্যাকসিন দিচ্ছে না। যেদিন বাংলায় ভ্যাকসিন আসবে সেদিন থেকেই আমি বিতরণ করা শুরু করবো।” এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমাদের কাছে এখন করোনা মোকাবিলায় অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সব হাসপাতালে অক্সিজেন সেন্টার বানানো হবে। আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি। কিন্তু পেয়েছি মাত্র ১ লাখ। কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্রুত অক্সিজেন এবং ভ্যাকসিন নিয়ে পলিসি বানাতে হবে।”