Hoop NewsHoop Trending

অত্যন্ত মেধাবী, ধীরস্থির, স্কুলজীবনে কেমন ছিলেন ‘তিলোত্তমা’! মুখ খুললেন বান্ধবী

আরজিকর (RG Kar Medical College Hospital) এর ঘটনায় নতুন আপডেটের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন আপামর রাজ্যবাসী। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘটনায় আরো কেউ যুক্ত থাকতে পারে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখেও একই দাবি করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, এই নৃশংসতা কোনো একজনের পক্ষ সম্ভব নয়। বাকি দোষীদের খোঁজার কাজ কতটা এগোলো, নতুন কোনো সূত্র পাওয়া গেল কিনা তা জানার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।

এর মাঝেই মুখ খুললেন ‘তিলোত্তমা’র এক বান্ধবী। দীর্ঘদিন একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন দুজনে। কেমন ছিলেন তিলোত্তমা, তাঁর স্কুলজীবন নিয়ে অজানা তথ্য শেয়ার করেছেন ওই বান্ধবী। সেই সঙ্গে তিলোত্তমার জন্য বিচার চেয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমের কাছে তরুণীকে বলতে শোনা যায়, সোদপুরে তাঁদের বাড়ি। তিলোত্তমার সঙ্গে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন তিনি। তাঁদের ব্যাচে একমাত্র তিলোত্তমাই হয়েছিলেন চিকিৎসক। স্কুল জীবনে কেমন ছিলেন তিনি? তিলোত্তমার বান্ধবী জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। খুবই সরল মনের এবং পরিশ্রমী ছিলেন। দরিদ্রদের জন্য ভাবতেন তিনি।

তিলোত্তমার বান্ধবী আরো জানান, ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন তিনি। তাঁরা দুষ্টুমি করলেও তিলোত্তমা কখনো শাস্তি পাননি স্কুলে। ধীরস্থির, শান্ত স্বভাবের ছিলেন তিনি। এমনকি বাবা মায়ের কাছেও কখনো শাসন শুনতে হয়নি তাঁকে, এতটাই ভালো মেয়ে ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই এমন নারকীয় ঘটনা, মেনে নিতে পারছেন না কেউ। ওই তরুণী আরো বলেন, হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় খুন করা হয়েছে তিলোত্তমাকে। অর্থাৎ কর্মস্থলেও নিরাপদ নয় মেয়েরা। তদন্তে এত সময় লাগছে কেন? প্রশ্ন তুলে তিলোত্তমার বান্ধবী বলেন, হাত জোড় করে শুধু আবেদনই করতে পারবেন তাঁরা। দোষীদের যেন দ্রুত সামনে এনে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়।

Related Articles