Lokkhir Bhandar: আচমকাই বন্ধ হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! চিন্তার মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজ্যে তৃণমূল সরকারের অন্যতম মাস্টারস্ট্রোক লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lokkhir Bhandar)। ২০২১ সালে নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পগুলি চালু রয়েছে এর মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবথেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে।
নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রভাব
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতেই, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সবুজ ঝড়ের নেপথ্যে অনেকটাই অবদান রয়েছে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের। এই প্রকল্পের কারণেই রাজ্যের মহিলা ভোটের সিংহভাগটা পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে পেতেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। আর তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তবে এই টাকার পরিমাণ সম্প্রতি ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। আর যারা ৫০০ টাকা করে পেতেন তারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা বিরোধীদের মুখেও উঠে এসেছিল মহিলাদের আর্থিক সাহায্য সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পের কথা। আবার ভোট পরবর্তী হিংসাতেও উঠে এসেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গ। এবারের নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই কাঁথির অন্তর্গত খেজুরি বিধানসভাতে তৃণমূল কর্মীদের উপরে বিজেপির অত্যাচারের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এমনকি অত্যাচারিতরা এও দাবি করেছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হলে হোক, কিন্তু অভিযুক্তদের যেন শাস্তি পায়।
কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জনে ইতিমধ্যেই চিন্তা বেড়েছে অনেকের। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি সত্যিই বন্ধ হয়ে যাবে? উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চায়। কিন্তু তিনি থাকতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেউ বন্ধ করতে পারবে না। তৃণমূল সরকার যতদিন থাকবে ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেউ বন্ধ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।