Hoop PlusTollywood

Priyanka Sarkar: পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো, বসাতে হল প্লেট, প্রিয়াঙ্কার দুর্ঘটনার দায় কার!

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা সরকার (Priyanka Sarkar)-এর পায়ের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তাঁকে আটচল্লিশ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু অপরদিকে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-কে ঘিরে ঘনীভূত হতে চলেছে ক্ষোভ ও অসন্তোষের মেঘ। করোনা অতিমারীর ফলে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে রাতে নাইট কার্ফু ঘোষিত হয়েছে। নাইট কার্ফুর কারণে রাতে কোনো ধরনের শুটিং বা ইভেন্টের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এসভিএফ-এর হইচই প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজ ‘মহাভারত মার্ডারস’-এর শুটিং চলছিল নাইট কার্ফু না মেনে। উপস্থিত ছিলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার, অর্জুন চক্রবর্তী সহ একাধিক অভিনেতা। রাত সাড়ে এগারোটার সময় রাজারহাটের রাস্তায় শুটিং চলাকালীন এক বাইক আরোহী মদ্যপ অবস্থায় প্রিয়াঙ্কাকে ধাক্কা মারে। এই ঘটনা এসভিএফ-এর বেআইনি কার্যকলাপকে সামনে এনে দিয়েছে বলে মনে করছেন ইন্ডাস্ট্রির একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, নাইট কার্ফু না মেনে কি করে এসভিএফ রাত সাড়ে এগারোটার সময় রাজারহাটের রাস্তায় শুটিং করছিল! প্রিয়াঙ্কা সরকারের এই দুর্ঘটনার দায় কে নেবে, প্রশাসন না প্রযোজনা সংস্থা?

টলিউডের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে একটি শট শেষ হয়ে আরেকটি শটের প্রস্তুতি চলছিল। অভিনেতা ও কলাকূশলীরা রাস্তাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন। শেষ মুহূর্তের মেকআপের ফিনিশিং টাচ নেওয়া হচ্ছিল। সংলাপও প্র্যাকটিস করছিলেন তাঁরা। হঠাৎই প্রহরা ভেঙে এক মদ্যপ বাইক আরোহী ঢুকে পড়ে শুটিং স্পটে। তার বাইক গিয়ে ধাক্কা মারে প্রিয়াঙ্কা ও অর্জুন (Arjun Chakraborty)-কে। দুজনেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অর্জুনের চোট বেশি না থাকার ফলে প্রাথমিক শুশ্রুষার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার পায়ের হাড় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বাইপাসের ধারে এক প্রথম সারির হাসপাতালে।

তাঁর পায়ে প্লেট বসিয়ে হাড় জোড়া লাগানো হলেও আপাতত মাস চারে তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। শুটিং তো নয়ই, এমনকি হাঁটা-চলাও করা যাবে না। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রিয়াঙ্কার স্বাভাবিক জীবন। যোগাযোগ করা যায়নি প্রিয়াঙ্কার সহ অভিনেতা অর্জুন ও ‘মহাভারত মার্ডারস’-এর পরিচালক সৌমিক হালদার (Soumik Halder)-এর সঙ্গে। হইচই-এর কর্ণধার বিষ্ণু মোহতা (Vishnu Mohta) এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, সেই সময় নাকি প‍্যাক আপ ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। জিনিসপত্র গোছগাছ চলছিল। এর মধ্যেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে কি করে বাইক ঢুকল তা বুঝতে পারছেন না বিষ্ণু নিজেও।

তিনি জানিয়েছেন, এসভিএফ কোনো দায়িত্ব এড়াবে না। বিষ্ণু ‘মহাভারত মার্ডারস’-এর ইউনিটের সাথে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন। এছাড়াও তিনি রবিবার প্রিয়াঙ্কার সাথে কথা বলবেন। তবে হাসপাতাল সূত্রে বিষ্ণু জেনেছেন, প্রিয়াঙ্কা ভালো আছেন। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কথা বলে তাঁর চিকিৎসার দায়ভার বহন ও ভবিষ্যত পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন বিষ্ণু।

Related Articles