whatsapp channel

Viral: বন্ধ ঘরে শিষ্যার সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়লেন বাস্তবের ‘বাবা নিরালা’ জিতেন্দ্র মহারাজ

ধর্মের কথা বলতে গিয়ে কখন যে অধর্ম করে বসেছিলেন, তা কথক ঠাকুর জানলেও তাঁর শিষ্যরা জানতেন না। কিন্তু বিয়ের সময় বোধহয় ভাবতেও পারেননি, তাঁর অর্ধাঙ্গিনীই একদিন তাঁর রহস্য উন্মোচন করবেন।…

Avatar

Advertisements
Advertisements

ধর্মের কথা বলতে গিয়ে কখন যে অধর্ম করে বসেছিলেন, তা কথক ঠাকুর জানলেও তাঁর শিষ্যরা জানতেন না। কিন্তু বিয়ের সময় বোধহয় ভাবতেও পারেননি, তাঁর অর্ধাঙ্গিনীই একদিন তাঁর রহস্য উন্মোচন করবেন। নাম তাঁর জিতেন্দ্র (Jeetendra)। স্থানীয়রা ডাকেন ‘জিতেন্দ্র মহারাজ’ নামে। ফিল্মের নায়ক না হলেও এই জিতেন্দ্র কথার নায়ক। মধ্যপ্রদেশের সাজাপুর জেলার মোহন বারদিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা জিতেন্দ্রর পেশা ধর্মের কথা শোনানো। অঞ্চলে তিনি পরিচিত কথকঠাকুর বলেই। এলাকার মানুষজনও তাঁকে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেও শ্রদ্ধা-ভক্তি করতেন। কিন্তু তাঁরা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি জিতেন্দ্র প্রকৃতপক্ষে ‘বাবা নিরালা’।

Advertisements

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে অবশ্য জিতেন্দ্রর পরিচয় সবাই পেয়ে গিয়েছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জিতেন্দ্রর স্ত্রী সীমা শর্মা (Seema Sharma) সবুজ শাড়ির ঘোমটা সামলাতে সামলাতে মহিলা পুলিশ অফিসারকে তাঁর স্বামীর কীর্তি বর্ণনা করছেন। অপরদিকে ঝকঝকে হলুদ পাঞ্জাবি পরা জিতেন্দ্রকে হাজতে নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। রক্ষাবন্ধন উপলক্ষ্যে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন সীমা। সেখানেই তাঁর কাছে খবর আসে জিতেন্দ্রর শিষ্যা বলে পরিচয় দেওয়া এক মহিলা সীমার অজ্ঞাতে তাঁর বাড়িতে জিতেন্দ্রর সাথে রাত্রিবাস করছেন। তৎক্ষণাৎ সীমা তাঁর ভাইদের সাথে মোহন বারদিয়া থানায় উপস্থিত হন। সেখান থেকে পুলিশের সাথে শ্বশুরবাড়িতে আসেন সীমা।

Advertisements

শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে সেখানে একটি বন্ধ ঘরের ভিতর অত্যন্ত আপত্তিকর অবস্থায় জিতেন্দ্র এবং ওই মহিলাকে হাতেনাতে ধরেন সীমা। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি পার্শ্ববর্তী গুনা এলাকায়। তিনি জিতেন্দ্রর সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ছিলেন। জিতেন্দ্র এবং ওই মহিলাকে ঘর থেকে বার করার সময় সীমার সাথে ওই মহিলার বচসা শুরু হয়। সীমা চিৎকার করে গালিগালাজ দিতে শুরু করলে ওই মহিলা তাঁর গালে চড় মারেন।

Advertisements

সীমার অভিযোগের ভিত্তিতে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির 323, 294 এবং 506 ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Advertisements
whatsapp logo
Advertisements