Finance News

Joint Account: জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলেই মিলবে আয়কর ছাড়, না জানলে দেখে নিন গোপন পদ্ধতি

বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি কমবেশি সকলের কাছেই অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকাটা খুবই জরুরি একটি বিষয় সকলের কাছেই।বলা যায়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন সকলেরই পড়ে। সে রোজগারের টাকা সুরক্ষিতভাবে রাখা হোক বা অনলাইনে টাকা লেনদেন কিংবা দূরের কাউকে টাকা ট্রান্সফার করা- এই সমস্ত কাজের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রাখা ভীষণ জরুরি।

কারো থাকে একটি অ্যাকাউন্ট, কারো আবার একাধিক। আবার এই অ্যাকাউন্টের ধরণও হয় ভিন্ন ভিন্ন। ভারতের নাগরিকরা অনেক ধরণের অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন ব্যাঙ্কে। যার মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় অ্যাকাউন্ট হল- সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। এই দুই অ্যাকাউন্টের ব্যবহার কিন্তু আলাদা আলাদা। যারা নিয়মিত কিছু টাকা ব্যাঙ্কে সুরক্ষিতভাবে ফেলে রাখতে চান ভবিষ্যতের জন্য এবং দরকারের সময় সেই টাকা তুলে নিতে চান, তারা সাধারণত সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন। এই অ্যাকাউন্টে টাকার বিনিময়ে ব্যাঙ্ক গ্রাহককে সুদও দিয়ে থাকে। ফলে আমজনতার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাইপ।

তবে এর মাঝেই অনেকে আবার জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও খুলে থাকেন। কখনো স্বামী স্ত্রী থাকেন এই ধরণের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের হোল্ডার, কখনো বা হয় বাবা ও ছেলে, কখনো দুই ভাই বা দুই বোন। এইসব অ্যাকাউন্টের যেমন রয়েছে একাধিক সুবিধা, তেমনই রয়েছে অনেক অসুবিধাও। প্রধান অসুবিধার মধ্যে একটি হল প্রতারণা। মাঝেমধ্যেই এমন সব ঘটনা সামনে আসে যেখানে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কেউ একজন টাকা তুলে অন্যকে প্রতারণা করে। এছাড়াও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে উভয় অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকেই সুদের উপরে ধার্য কর দিতে হয়।

তবে নানা অসুবিধার মাঝে অনেক সুবিধাও রয়েছে এই জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট-এর। এক্ষেত্রে পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমের ক্ষেত্রে TDS ধার্য হয় না। তবে সেইসব স্কিম থেকে প্রাপ্ত সুদ থেকে যে টাকা আসছে, তার উপরে কর ধার্য হয়। তবে এক্ষেত্রেও অর্জিত সুদের আয়ে ধার্য কর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ট্যাক্স স্ল্যাব অনুসারে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, একে Schedule OS বলা হয়।

Related Articles