ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় প্রয়াত হলেন জনপ্রিয় রিপোর্টার, শোকের ছায়া সাংবাদিক মহলে!
বছর শুরু হয়েছে মাত্র ১ মাস ও হয়নি। এর মধ্যেই রাতের অন্ধকারে আবারো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গেলো কলকাতা শহরের মাঝে। সাংবাদিক মহলে ময়ূখ রঞ্জন ও সোহম দুই পরিচিত মুখ। তাঁদের লেখায় বরাবর মুগ্ধ হয়েছেন নেট দুনিয়া সহ ইলেকট্রনিক মিডিয়া। সদ্য শহরে ফিরেছিলেন ময়ূখ। সোহমও দীর্ঘদিন কাজ করছেন এই পেশায়। আর তাঁর মধ্যে ঘটলো এক বড় দুর্ঘটনা। বাইক দুর্ঘটনায় সোহম মল্লিকের স্পট ডেথ হন আর ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ গুরুতর আহত হন। জখম অবস্থায় তিনি এখন আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন।
এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার মাঝ রাতে দক্ষিণ কলকাতার লর্ডস মোড়ে। রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এই দুই সাংবাদিক। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিস সূত্রে খবর, গাছের সাথে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান দু-জন। সুইগির কয়েকজন কর্মীর নজরে আসতেই তাঁরা ওই দুই সাংবাদিককে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোহমকে হাসপাতাকে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় এবং অন্যজনকে এসেএসকেএমের আইসিসিইউতে রাখা হয়েছিল।
ময়ূখ রঞ্জনকে প্রথমে এসএসকেএমের আইসিইউতে ভর্তি করা হলেও পরে অবস্থা খারাপ হওয়ারে তারপর তাঁকে মল্লিকবাজারের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন তিনি। এখন ময়ূখের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর একটা চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বললেন চিকিৎসকরা।
গতকাল রাতে ময়ূখের বাড়িতে যায় সোহম। রাতে সেখানেই সোহমের বন্ধুর বাড়িতে থাকার কথা ছিল। এরপর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ইমন কল্যাণ লাহিড়ি নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বাড়িতে যান দুই বন্ধু। সেখানে কাজ মিটিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ৩টে -৪টে নাগাদ বলরাম মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটনাটি ঘটে। লেক থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছেন। সেখানকার পুলিস জানিয়েছেন, ময়ূখের বাইকটি হঠাৎ স্কিড করে একটা গাছে ধাক্কা লাগে। বাইকটি সোহম চালাচ্ছিল। ইতিমধ্যেই ঘটনা খতিয়ে দেখছে লেক থানার পুলিস। সোহমকে হারিয়ে শোকের ছায়া সাংবাদিক মহলে। আর ময়ূখের এই অবস্থাতে উদ্বেগ তাঁর গোটা পরিবারে।