মা সতীর মস্তক পড়েছিল এই স্থানে, নদীয়া জেলার জুরানপুর সতীপীঠ এক জাগ্রত পীঠস্থান
৫১ সতী পীঠের মধ্যে এক অন্যতম সতীপীঠ হলো নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত জুরানপুর সতীপীঠ। প্রাচীনকালে এটি কালীপীঠ নামেও পরিচিত ছিল। বর্ধমানের কাটোয়া ঘাট থেকে নদী পেরিয়ে নদীয়ার বল্লভপুর ঘাটে নেমে পৌঁছে যাওয়া যায় এই জুরানপুর। এক বিশাল বড় বাঁধের একপাশে বিস্তৃত প্রান্তর এর মধ্যে পঞ্চ বটির মধ্যে রূপে এখানে দেবী অধিষ্ঠাত্রী।
শাস্ত্র অনুসারে, এখানে দেবীর মুণ্ড পড়েছিল। তবে শিব চরিত্র অনুযায়ী, এখানকার সতীপীঠের দেবী হলেন চন্ডেশরী। এখানে একজন পুরোহিত নিত্য পূজা করেন। মন্দিরের ভেতর একটি সুরঙ্গ আছে। জানা যায় এই সুরঙ্গ নাকি গঙ্গা পর্যন্ত চলে গিয়েছে। তবে বর্তমানে সুরঙ্গ বন্ধ আছে।
কথিত আছে, তারাপীঠ যাওয়ার আগে বামদেব নাকি এখানে বসে তপস্যা করেছিলেন। এর ভিতর একটি অষ্টধাতুর মূর্তি আছে। প্রতিদিন সকালে এই মূর্তিকে শীলাদেবীর পাশে বসিয়ে পুজো করা হয়। তারপরে আবার তার নিজস্ব স্থানে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।