ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য ‘ডিম-মাছের যুগলবন্দী’ রেসিপি
সপ্তমীর দিন সকাল মানে একটু মাছ মাংস বা ডিম খেতেই পারেন। যারা বাইরে সারাক্ষণ খান তাদের কিন্তু এই প্রেপারেশন টা বাড়িতে বেশ পছন্দ হবে বাড়িতে যদি অতিথি আপ্যায়ন করতে চান তাহলে অবশ্যই এই রান্নাটা করে ফেলুন।
উপকরণ –
ডিম পাঁচটি
কাতলা মাছের টুকরো অন্ততপক্ষে ১০টি
পেঁয়াজ বাটা ৩ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
ধনেপাতা কুচি ১ কাপ
ক্যাপসিকাম কুচি কুচি করে কাটা ৩ টেবিল চামচ
লঙ্কা কুচি স্বাদমতো
হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ
লংকাগুঁড়ো স্বাদমতো
নুন চিনি স্বাদমতো
সরষের তেল পরিমাণমতো
গ্রেভি বানানোর জন্য –
পেঁয়াজ কুচি ১ চা চামচ
আদা কুচি ১ চা চামচ
রসুন বাটা ১ চা চামচ
টমেটো বাটা ৩ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো লঙ্কাগুঁড়ো স্বাদমতো
উপকরণ –
প্রথমে মাছ গুলোকে হালকা করে ভেজে নিয়ে ভেতর থেকে যতটা সম্ভব বড় বড় কাটা গুলিকে বার করে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে বা কোন চ্যাপ্টা ফ্রাইংপ্যানে ডিম গুলিকে একটি একটি করে ভেজে আলাদা করে থালায় তুলে নিতে হবে। ডিমের ভেতরের পুর তৈরি করার জন্য কড়াইতে বেশ খানিকটা সরষের তেল দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, কুচি করা ক্যাপসিকাম, ধনেপাতা কুচি স্বাদমতো নুন, চিনি লঙ্কা কুচি এবং হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে কাটা বার করে রাখা ভেজে রাখা মাছ গুলি দিয়ে দিতে হবে। ভালো করে নাড়িয়ে চাড়িয়ে পুর বানিয়ে নিতে হবে। মাছগুলিকে ভেঙে দিতে হবে খুন্তির সাহায্যে। এরপর একটি করে ডিম ভাজা নিয়ে তার মধ্যে ১ টেবিল চামচ কিংবা পরিমাণমতো মাছের পুর দিয়ে ডিম ভাজা গুলিকে ভালো করে আটকে নিয়ে ছোট কাঠি অথবা টুথপিক দিয়ে খানের মতন করে আটকে দিতে হবে। গ্রেভি বানানোর জন্য কড়াইতে আরো খানিকটা সরষের তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, রসুন বাটা, টমেটো বাটা এবং সমস্ত গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে কষানো হয়ে গেলে উষ্ণ গরম জল দিয়ে আর ওই ডিম ভাজার মধ্যে মাছের পুর দেওয়া উপাদানগুলিকে দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে যখন জল শুকিয়ে যাবে ঢাকা খুলে ওপরে আরো সামান্য কিছু ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ডিম মাছের যুগলবন্দী রেসিপি।