Hoop News

রাজনীতির ময়দানে এবার শ্বশুর বনাম জামাই, শ্রীরামপুর কেন্দ্রে মুখোমুখি কল্যাণ-কবীর

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের দিকে এবার চোখ থাকছে সকলেরই। বেশ কিছু কেন্দ্রেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে শ্রীরামপুর কেন্দ্র নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ এই কেন্দ্রে এবার সম্মুখ সমরে নামছেন প্রাক্তন শ্বশুর বনাম জামাই। শ্রীরামপুরে তৃণমূলের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) বিরুদ্ধে এবার বিজেপির তরফে লড়তে চলেছেন তাঁরই প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোস (Kabir Shankar Bose)। ব্যক্তিগত রেষারেষি যে রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে স্ফুলিঙ্গ তৈরি করবে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই।

শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকেই বরাবর জিতে আসেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তাঁর বিপরীতে বিজেপির তরফে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ী। তবুও তৃণমূল সাংসদের গড় হাতছাড়া হয়নি। তাই এবার পারিবারিক লড়াইকেই ভোটের ময়দানে হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। ২০১৭ সালেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় কবীরের। কিন্তু পারিবারিক ক্ষোভ এখনো বজায় রয়েছে। তার আগে ২০১৫ সালে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছিলেন তিনি। পালটা কবীরের আবাসনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সাংসদের অনুগামীরা।

উল্লেখ্য, বিজেপির মুকুল রায়ের হাত ধরেই রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন কবীর শঙ্কর বসু। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাও পেয়েছিলেন তিনি। এর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির হয়ে শ্রীরামপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন কবীর। কিন্তু সেবারেও পরাজিত হন তিনি। আর এবারে প্রাক্তন শ্বশুরের বিপরীতেই লড়াই করতে চলেছেন তিনি।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কবীর শঙ্করও পেশায় আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি। অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে আইনজীবী হিসেবে। শ্রীরামপুর কেন্দ্রেও সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট কাজ করেছেন তিনি। এবার রাজনীতির আঙিনায় দুজনের লড়াই কেমন জমে সেটাই দেখার। শ্রীরামপুর কেন্দ্রে সিপিএম এর তরফে প্রার্থী করা হয়েছে তরুণ নেত্রী দীপ্সিতা ধরকে। লড়াই যে ভালোই হতে চলেছে তেমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই