বাড়ির টবে কামিনী ফুল চাষ করুন সহজ পদ্ধতি শিখে নিন
কামিনী অসাধারণ একটি ফুল। কামিনীর নানান রকম প্রজাতি আছে। ইনডোর প্লান্ট হিসেবেও কামিনীর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে যেগুলি ইনডোর প্লান্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাতে কামিনী ফুল ফোটে না। শুধু গাছগুলি খুব সুন্দর দেখতে লাগে। কামিনী গাছের উৎপত্তি এশিয়াতেই তবে এশিয়ার ঠিক কোন জায়গায় তা জানা যায় না। ভারতীয় পরিবেশে খুব সহজেই হতে পারে কামিনী ফুল। চলুন দেখি নি স্টেপ বাই স্টেপ কামিনী গাছের পরিচর্যা কিভাবে করবেন।
কামিনী গাছের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি প্রয়োজন। উচ্চ জল নিকাশি ব্যবস্থা সম্পন্ন হতে হবে। সেক্ষেত্রে একভাগ বাগানের মাটির সঙ্গে, নদীর সাদা বালি মাটি কিংবা যদি না পান তাহলে লাল বালি মাটি, এবং এর সঙ্গে জৈব সার, জৈব সারের মধ্যে দিতে পারেন একবছরের পচানো গোবর সার অথবা ভার্মিকম্পোস্ট অথবা কিচেন কম্পোস্ট। গাছের জন্য প্রয়োজনীয় যে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদির সমস্ত কিছুই পাওয়া যাবে কিচেন কম্পোস্ট থেকে। তাই যারা রাসায়নিক সার পছন্দ করেন না তারা কিচেনের বজ্র পদার্থকে এক মাস ধরে পচিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন।
কামিনী গাছ কষ্টসহিষ্ণু গাছ। তাই এই গাছে জল না দিলে খুব তাড়াতাড়ি মরে যাবে না। তবে এই গাছে বেশি জল দেওয়া কিন্তু খুব খারাপ তাই প্রতিদিন নিয়ম করে জল দেবেন। গাছের মাটির মধ্যে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেখতে পারেন যদি দু গাঁট শুকনো থাকে তাহলেই মাটির উপরে জল দিয়ে দিন।
এই গাছকে সাত-আট ঘণ্টা রোদে রাখতে হবে। যদি মোটামুটি সাত আট দিন অন্তর অন্তর নিম তেল স্প্রে করতে পারেন তাহলে পোকামাকড়ের আক্রমণ একেবারে হবে না।
কামিনী আকারে অনেকটা বড় হয়। কিন্তু আমরা যেহেতু তবেই কামিনী গাছ করবো তাই মাঝেমধ্যেই কামিনী গাছের ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে।
এইভাবে স্টেপ বাই স্টেপ নিয়ম মেনে যদি কামিনী ফুল চাষ করতে পারেন তাহলে আপনার বাগানে সুন্দরভাবে শোভা বৃদ্ধি করবে কামিনী।