বলিউডে যত চর্চিত লাভস্টোরি রয়েছে তাদের মধ্যে করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan) এবং শাহিদ কাপুরের (Shahid Kapoor) নাম না নিলেই নয়। ফিল্মি পরিবারের মেয়ে করিনা প্রেমে পড়েছিলেন নবাগত শাহিদের। দুজনের প্রেমের চর্চা এক সময়ে ইন্ডাস্ট্রির অলিতে গলিতে শোনা যেত। সম্পর্কটা লুকিয়েও রাখেননি অবশ্য তাঁরা। ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী ছিলেন শাহিদ করিনা। কিন্তু তাঁদের উথাল পাথাল প্রেম পরিণতি পায়নি। বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা।
একসঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শাহিদ করিনা। ‘জব উই মেট’ ছবিতে আদিত্য-গীতের রসায়ন কেই বা ভুলতে পেরেছে? বলিউডের সর্বকালের হিট ছবিগুলির মধ্যে একটি জব উই মেট। কিন্তু বাস্তবে শাহিদ করিনার আলাপ হয় কীভাবে? জানা যায়, ‘ফিদা’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই মনের দেওয়া নেওয়া সেরে ফেলেছিলেন শাহিদ করিনা। সেই শুরু। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা। বিভিন্ন শোতে, সাক্ষাৎকারে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার আভাস দিয়েছেন শাহিদ করিনা। অনুরাগীদের চোখে আদর্শ জুটির উদাহরণ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু মিষ্টি মধুর সম্পর্ক তিক্ত হতে বেশি সময় লাগেনি। দুজনের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। তার থেকেই বাড়তে থাকে দূরত্ব। শেষমেষ ভেঙে যায় শাহিদ করিনার সম্পর্ক। একবার এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে এক বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী। তিনি দাবি করেছিলেন, একবার সারারাত ধরে একটি বদ্ধ ঘরে ছিলেন তাঁরা। গোটা রাত ধরে ঝগড়ায় ব্যস্ত ছিলেন দুজনে। উল্লেখ্য, শাহিদ করিনার সম্পর্ক আরো বেশি চর্চায় ছিল, কারণ সে সময়ে তাঁদের একটি এমএমএস ভাইরাল হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সে বিষয়ে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি শাহিদ করিনা। সম্প্রতি আবারো চর্চায় উঠে এসেছে এই প্রাক্তন জুটির নাম।
শোনা যায়, ‘টশন’ ছবিতে সইফ আলি খানের সঙ্গে অভিনয় করার পর থেকেই তাঁর প্রতি দুর্বল হতে শুরু করেন করিনা। এদিকে শাহিদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি এবং ক্রমে অবসান ঘটে। যদিও সইফকেও তৎক্ষণাৎ বিয়ের জন্য হ্যাঁ বলেননি অভিনেত্রী। বেশ কয়েক বছর প্রেম করার পর ২০১২ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দুজনে। অন্যদিকে ২০১৫ তে মীরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শাহিদ কাপুর।