Kaushiki Amabasya 2023: সেপ্টেম্বরেই তৈরি হচ্ছে মহাযোগ, এই দিনে মা তারার উপাসনা করলেই মিলবে সুফল
অমাবস্যা ও পূর্ণিমা হল মহাজাগতিক ঘটনা। তবে ভারতের প্রাচীন শাস্ত্র জ্যোতিষশাস্ত্রে এই অমাবস্যা ও পূর্ণিমার ব্যসেস গুরুত্ব রয়েছে। তবে বছরের সবকটি অমাবস্যা বা পূর্ণিমার গুরুত্ব এক নয়। কিছু কিছু পূর্ণিমা যেমন গুরুত্বপূর্ণ হয়, তেমনই আবার কয়েকটি অমাবস্যা বিশাল এক যোগের সৃষ্টি করে মানবজাতির জন্য। বিশেষ করে অমাবস্যায় যেহেতু শক্তির দেবী মা কালীর উপাসনা হয়, তাই গুরুত্বপূর্ণ অমাবস্যার যোগকে বেশি করে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন কমবেশি সকলেই। সেইসব অমাবস্যার বিশেষ রীতিনীতি মেনে করতে হয় আরাধ্য দেবীর উপাসনা।
সব অমাবস্যাতেই মা কালীর উপাসনা হয়ে থাকে থাকে। তবে ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা হল আর সব অমাবস্যার থেকে আলাদা। কারণ ভাদ্র মাসের এই অমাবস্যার সময়টি হল সাধক ও তান্ত্রিকদের কাছে একটি মোক্ষম যোগ। বিশেষ করে তন্ত্র সাধনার নানা বিশেষ পূজা হয়ে থাকে এই কৌশিকী অমাবস্যা চলাকালীন। এবছরের এই মহাযোগ আসন্ন। পঞ্জিকা অনুসারে এ বছর কৌশিকী অমাবস্যা পালিত হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর বা ২৭ ভাদ্র তারিখে। এদিন ভোর ৫ টা বেজে ৩১ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৬ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে এই বিশেষ যোগ।
উল্লেখ্য, এই বিশেষ অমাবস্যা গুরুত্বপূর্ণ হল শাক্ত সাধনার জন্য। তাই এইদিন মা তারার বিশেষ পুজো হয় গভীর রাতে। কিন্তু কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই কৌশিকী অমাবস্যা? এর উত্তর খুঁজতে দেখতে হবে দেবী পুরাণ। দেবী পুরাণে উল্লিখিত আছে যে কৌশিকী হল মহাদেবী কালীর এক রূপ। এই রূপেই নাকি তিনি অসুর সম্রাট শুম্ভ ও নিশুম্ভকে নিধন করেছিলেন। সেই কারণেই এই বিশেষ অমাবস্যার রাতে শক্তির উপাসনা করলে তন্ত্র সাধনায় সফলতাও মেলে।
এবার আপনিও এই বিশেষ মহাযোগে কয়েকটি কাজ করেই নিজের ভাগ্যের আলো জ্বালিয়ে দিতে পারবেন। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধ্যা নামার আগেই ঘর ও উঠোন পরিষ্কার করা উচিত। পাশাপাশি ঘরের দরজায় দুপাশে তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এছাড়াও এদিন মা তারার পায়ে রক্তজবা ও সিঁদুর দিয়ে তার পূজা করা উচিত। এই কাজ করলে দূর হবে নেতিবাচক সব শক্তির, জীবনে আসবে শান্তি ও সমৃদ্ধি।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের ভিত্তিতে লেখা। কোনরূপ কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।