বাবিনের সঙ্গে বিচ্ছেদেই কি গুনগুনের চোখে জল!
অভিমান নিজের লোকের উপরেই করা যায়, আর তাই আপনজনের অভিমান দেখে আর তাদের উপর অভিমান করেই ঘর ছাড়ছে গুনগুন। বাবিনের সঙ্গে বাড়ছে তার দূরত্ব। সম্পর্কের সমীকরণ বদলাচ্ছে গল্পে। এই কাহিনীর শুরুতে দেখানো হয়েছল যে সৌজন্যকে বিয়ে করে এক বছরের জন্য এই বাড়িতে থাকবে গুনগুন। তারপর গ্র্যাজুয়েশন পরীক্ষায় পাশ করে গেলেই ফের বাবার কাছে ফিরে যাবে। এই শর্তেই সৌজন্যর সঙ্গে থাকতে রাজি হয় গুনগুন। প্রথমে দুজনের মধ্যে একেবারেই মিলমিশ না হলেও ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে মিষ্টি রসায়ন শুরু হয়েছে। দর্শকরাও ভালোবেসে এই জুটির নাম দিয়েছে সৌগুন। কিন্তু, এই মিষ্টি সম্পর্কে তৈরি হয়েছে অধিকার বোধ আর সন্দেহ।
গুনগুন কাদতে কাদতে বাড়ি ছাড়ছে। কী হল গুনগুনের? কেনই বা চোখে জল? গল্পের মোড় বলে দিচ্ছে আদিলের সঙ্গে মেলামেশা এক্কেবারে পছন্দ করেছেন না পরিবারের সদস্যরা এবং সৌজন্য নিজেও। কে এই আদিল? পটকা এই আদিলকে বাড়িতে আনে। আদিল আসাতে গুনগুনের সঙ্গে তার দারুন বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু, হঠাৎ করেই আদিলের সঙ্গে গুনগুনের এত বন্ধুত্ব দেখে বেশ অসন্তুষ্ট। আদিলের সঙ্গে রাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকায় গুনগুনের উপর চটে যায় সৌজন্য।
View this post on Instagram
পর পুরুষের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠতা মানতে নারাজ সৌজন্য ও গোটা পরিবার। গুনাগুনের উপর সকলেই বেশ বিরক্ত। সম্প্রতি চ্যানেলের প্রকাশ্যে আনা প্রোমোতে দেখা গিয়েছে মিষ্টি বৌদি ও বাড়ির অন্যান্যরাও বলছেন গুনগুন এই কাজটা একেবারেই ঠিক করেনি।
এদিকে, অবস্থা বেগতিক দেখে পটকা আসল সত্যটা বলে দেয়। পটকা জানিয়ে দেয় এই আদিল হল মুনিয়ার ছেলে। এই আদিলের গলায় যেই তাবিজ ছিল তাতে মুনিয়ার নামও খোদাই করা। কিন্তু, পটকা আসল কথা বলার পরেও অভিমান নিয়ে ঘর ছাড়ে গুনগুন। এবার দেখার পালা সৌজন্য কিভাবে গুনগুনের অভিমান ভাঙিয়ে ঘরে আনে।
View this post on Instagram