“খড়কুটো” ধারাবাহিক এবার হিন্দিতে তৈরী হতে চলেছে!
এক মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প, যে পরিবারটি কিছু প্রাচীনপন্থী ধ্যানধারণাআঁকড়ে বাঁচে। সেই পরিবারেই প্রবেশ ঘটে গুনগুনের। গুনগুন শিক্ষিতা, সুন্দরী, আধুনিকা। আর সৌজন্য একজন খাঁটি বাঙালি বিজ্ঞানী হয়েও যে নিজের পরিবারকে বড্ডো ভালোবাসে। এই নিয়ে ২০২০ সালে আগস্ট মাসে শুরু হয় ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক। লকডাউনের পর এই ধারাবাহিক প্রচার শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে সকলের প্রিয় হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যে ৭ঃ৩০ টা বাজলেই গুনগুন আর সৌজন্যের খুনসুটি আর যৌথ পরিবারের ভালোবাসা দেখা চাই। তাই তো এই ধারাবাহিক খুব স্বল্প সময়ের সাথে সাথে টিআরপিতে সেরা পাঁচ এ নিজের স্থান দখল করে নিয়েছে।
এই মুহূর্তে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা বেশ উর্দ্ধমুখী। দিন দিন এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অবশ্য এর নেপথ্যে আছে সকলের অভিনয় শৈলতা। এবার সকলের প্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক তৈরী হবে হিন্দী ভাষাতে। হ্যা খুব শীঘ্রই স্টার প্লাসে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক সম্প্রচারিত হবে।অবশ্য এই হিন্দী ধারাবাহিকের কলমেও থাকবেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিজে। এতদিন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমে যে সব জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই হিন্দিতে দর্শক দেখতে পাচ্ছেন স্টার প্লাসে যেমন ‘শ্রীময়ী’ থেকে ‘অনুপমা’,’কুসুমদোলা’ থেকে ‘গুম হে কিসি কে প্যায়ার মে’ ‘মোহর’ থেকে সৌর অউর আনোখী কি কাহানি’,’ইষ্টিকুটুম’ থেকে ‘ইমলি’। তবে এ সব ধারাবাহিকের লেখার সঙ্গে যুক্ত নয় শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় আর লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু এ বার ‘খড়কুটো’-র হিন্দি ভার্সানটি নিজে হাতে তৈরি করবেন তাঁরা।
তাই মার্চ মাস পড়তেই কিছুটা শ্যুটিং এর মুম্বইতে থাকার কথা ভাবছেন লীনা ও শৈবাল । তাঁরা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘হিন্দি ধারাবাহিক তৈরি করতে হলে অন্তত তিন-চার মাসের প্রস্তুতি পর্ব প্রয়োজন হবে সে কারণেই মার্চ মাসে মুম্বই যাওয়ার পরিকল্পনা। পরিচালক মশাই জানিয়েছেন আপাতত ‘খড়কুটো’, ‘ইচ্ছে নদী’ এই দুই ধারাবাহিক তৈরি করবেন। অবশ্য বাংলার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দেখা যাবে কিনা জিজ্ঞাসা করাতে তাঁরা জানিয়েছেন, তা একটা ধারাবাহিক তৈরি করার পর বুঝতে পারবেন। তিনি বাঙালি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাই তিনি এদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন। আপাতর লীনা এখন বাংলা ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্ট লেখাতেই বেশ মনোযোগী।