সুগার নিয়ন্ত্রণ থেকে রূপচর্চা, জেনে নিন কোন তিনটি কারণে বেসন ব্যবহার করবেন
বর্ষাকাল মানে বাঙালির বাড়িতে বাড়িতে হবে গরম গরম খিচুড়ি। গরম গরম খিচুড়ির সঙ্গে স্ন্যাকস্ খেতে কার না ভালো লাগে। সব সময় ইলিশ মাছ রান্না করে বেসন দিয়ে একটু বেগুনি, কিংবা পেঁয়াজি হলেই কিন্তু বাঙালির গরম গরম খিচুড়ি একেবারে সাফ হয়ে যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন? এই বেসনে রয়েছে, অনেক গুণ ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ত্বক চর্চায় যে কোনো কাজে এই বেসন ভীষণ উপকারী একটি উপাদান।
এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি আরও অনেক ভালো উপাদান। তাই বেসনকে রান্নাঘরে সব সময় রেখে দিন, যেকোনো কাজে বেসন ব্যবহার করতে পারেন। এতে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট ভীষণ কম, তাই এটি যারা সুগারের পেশেন্ট আছে, তাদের জন্য ভীষণ উপকারী। নিয়মিত ব্যবহার করলে শর্করার মাত্রা অনেকখানি কমে যাবে। কেন আপনি বেসন ব্যবহার করবেন চটপট দেখে নিন-
১) বেসন শক্তি যোগাতে সাহায্য করে- বেসনের মধ্যে যেহেতু কার্বোহাইড্রেট কম থাকে, তাই বেসন খেলে আপনার শরীরে ক্যালরি বাড়বে, কিন্তু কোনরকম ক্ষতি করবে না। যারা বডি বানাতে চাইছেন অর্থাৎ যারা বেশ ওয়ার্কআউট করেন, তারা কিন্তু বেসনের চিলা বানিয়ে খেতে পারেন।
২) সুগার পেশেন্টদের জন্য উপকারী- যারা সুগারের পেশেন্ট আছেন, তারা কিন্তু বেসন খেতেই পারেন কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম থাকার জন্য এটি শরীরে কোন রকম ভাবে ক্ষতি করে না, তারা ব্রেকফাস্টে অথবা ডিনারে বেসনের চিলা বানিয়ে খেতে পারেন, এতে উপযুক্ত পরিমাণে প্রোটিন আছে, যা শরীরের ক্ষতি না করেই আপনাকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করবে, এছাড়া সুগার কমিয়েও দিতে সাহায্য করবে।
৩) ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে – ত্বক নরম এবং পরিষ্কার করতে সাহায্য করে বেসন। বেসনের মধ্যে সামান্য পরিমাণে গোটা চিনি দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে, এরপর এই মিশ্রণটির মধ্যে সামান্য পরিমাণে জল দিতে হবে। প্রতিদিন যদি এটি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন, ত্বকের ওপরে তাহলে ত্বক ভীষণ পরিমাণে নরম থাকবে।