Recipe: চটজলদি বানিয়ে ফেলুন মাছের পুডিং, একবার খেলে বারবার খাবেন
বাঙালি মানেই, মাছে ভাতে বাঙালি, কিন্তু সব সময় কি মাছের ঝোল, তরকারি বা মাছের ঝাল ভালো লাগে? মাঝেমধ্যে তো একটু অন্যরকম খেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু মাঝেমধ্যে যদি বিদেশী খাবার খেতে ইচ্ছা করে তাহলে চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ একটি রেসিপি। রেসিপিটা খেতে যেমন সুন্দর হয়, দেখতেও ঠিক তেমনি সুন্দর। বাড়িতে যদি অতিথি আসে তাকে এটি খাইয়ে চমকে দিতে চান, তাহলে অবশ্যই এই রেসিপিটি একবার করুন, দেখবেন বাড়ির অতিথি একেবারে আনন্দ সহকারে খাচ্ছে। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় জলদি দেখে ফেলুন অসাধারণ মাছের পুডিং এর রেসিপি।
উপকরণ –
কাতলা মাছের টুকরো ছটি
ব্রেড ক্রাম প্রয়োজনমতো
পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ
আদা কুচি ১ টেবিল চামচ
রসুন কুচি ১ চা-চামচ
নুন, মিষ্টি স্বাদ মত
দুধ ১ কাপ
গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদমতো
কাঁচা লঙ্কা কুচি স্বাদমতো
মাখন ৬ টেবিল চামচ
ডিম দুটো
প্রণালী – কাতলা মাছের টুকরোগুলোকে প্রথমে সামান্য নুন জলে সেদ্ধ করে নিয়ে বড় বড় কাঁটাকে খুব ভালো করে বার করে নিতে হবে। এবার হাতের সাহায্যে চটকে চটকে মেখে পুরো পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর উপরে বলা উপকরণকেই মাছের সঙ্গে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি বড় পাত্র নিতে হবে, যেখানে অর্ধেকটা জল গরম করতে হবে, সে গরম জলের ওপরে একটা স্ট্যান্ড বসিয়ে দিতে হবে, সেই স্ট্যান্ডের উপরে একটি পাত্র টিফিন বক্স রাখতে হবে, টিফিন বক্স খুব ভালো করে মাখন দিয়ে ব্রাশ করে নিতে হবে, এর উপরে সব মিশ্রণ ঢেলে দিতে হবে।
এরপর টিফিন বক্সের ঢাকা বন্ধ করে বড় পাত্রটির উপরের ঢাকা বন্ধ করে দিতে হবে। ভাপেতেই হবে এই রান্না, বুঝতেই পারছেন রান্নাটি খেতে কত সুন্দর হবে। এরপর অন্তত কুড়ি মিনিট এই ভাবেই রেখে দিন। কুড়ি মিনিট পরে টিফিন বক্স বার করে বেশ খানিকক্ষণ বাইরে রেখে দিন। তারপর একটা প্লেটের উপরে টিফিন বক্স উপুড় করে নিন। দেখবেন সুন্দর করে মাছের পুডিং বেরিয়ে আসছে, তাই আর দেরি না করে চটপট রান্না ঠিক করে ফেলুন। ওপরে একটু খানি ধনেপাতা কুচি আর সামান্য একটু মাখন দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘কাতলা মাছের পুডিং’।