গুরুতর অসুস্থ কিংবদন্তি অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। সূত্রের খবর, জ্বর ও শ্বাস কষ্টের সমস্যা ছিল তার সকাল থেকেই। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তাকে রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ।
উপসর্গের ভিত্তিতে, সন্ধ্যা রায়ের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি, তবে প্রবীণ অভিনেত্রীর অবস্থা আগের থেকে অনেকটা স্থিতিশীল।
প্রসঙ্গত, ৫০-এর দশকে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। এরপর একে একে বহু সিনেমায় অভিনয় করেন। তার কিছু উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল ‘বাবা তারকনাথ’, ‘মায়ামৃগ’, ‘পলাতক’,‘বাঘিনী’, ‘আরোগ্য নিকেতন’, ‘ঠগিনী’ ও আরও অন্যান্য। একটা সময় চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের বহু ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা গেছে সন্ধ্যা রায়কে। পরবর্তীতে তরুণ – সন্ধ্যা দুজনে বিয়ে করেন।
সন্ধ্যা রায় ছিলেন সাদা কালো পর্দার স্নেহময়ী জননী কিংবা লক্ষ্মীমন্ত বউ। মাত্র ৭ বছর বয়সে তার বাবাকে এবং ৯ বছর বয়সে তার মাকে হারান। তার একজন ভাই আছে। তার মা-বাবা মৃত্যুর পর তিনি তার মামার কাছে চলে যান এবং স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে, তিনি আবার ভারতে ফিরেন। তখনকার দিনে মেয়েদের অভিনয় করাকে সমাজ ভালো চোখে দেখত না, কিন্তু নিজের লড়াই নিজেই চালিয়েছিলেন সন্ধ্যা রায়। চলচ্চিত্র জগতে আসবেন ঠিক করেই প্রথম হাতেখড়ি দেন “মামলার ফল” দিয়ে।
বাংলার বুকে তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। আর তার জন্যেই ২০১৪-য় তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। বিপুল ভোটে জিতে সন্ধ্যা রায় লোকসভার সাংসদ হন। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আর দাঁড়াননি তিনি।