LIC: প্রতিদিনের অল্প সঞ্চয় থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার রিটার্ন, এই পলিসিতে দুর্দান্ত সুযোগ দিচ্ছে LIC
মানুষের জীবনের কর্মক্ষমতা খুবই কম সময়ের জন্য হয়। মূলত ২০ থেকে ৫০ বছর অবধি সময়ে মানুষ সঠিকভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অনেকের জীবনে অকালে নেমে আসে কিছু বিপর্যয়। আর সেই কারণে অনেক কম বয়সে রোজগার বন্ধ হয় অনেকের। তাই সেই সময়ের জন্য টাকা জমিয়ে রাখতে কমবেশি সকলেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। আর এই সঞ্চয়ের জন্য ভারতীয় জীবনবীমা নিগম (LIC) হল অত্যন্ত ভরসযোগ্য একটি সংস্থা।
এবার LIC নিয়ে এক আকর্ষণীয় একটি প্ল্যান, খুব অল্প পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করেই পলিসি ম্যাচিউর হলেই পাওয়া যেতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ। অর্থাৎ মেয়াদ পূর্তির সময় একটা বড়সড় অঙ্কের টাকা পাওয়ার সুযোগ থাকছে LIC-র এই পলিসিতে। এখন একনজরে দেখে নিন এই পলিসির বিস্তারিত কিছু তথ্যাবলী।
■ পলিসির নাম: এলআইসি জীবন লাভ পলিসি (LIC Jeevan Labh Policy)।
■ পলিসির মেয়াদ: এই পলিসিতে আপনাকে লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি একাধিক বিকল্প পেয়ে যাবেন। এই পলিসিতে ১২,১৩ বা ১৬ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায়। আর সেই অনুযায়ী ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ম্যাচিউর হবে পলিসি।
■ বয়সসীমা: এই পলিসিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের সীমার বিষয়ে অনেকটাই ছাড় দিয়েছে LIC। এই পলিসিতে ৮ বছর বয়স থেকে ৫৯ বছর বয়স অবধি যেকোনো ভারতীয় নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে কোনো ৫৯ বছর বয়সী নাগরিক ১৬ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন এই পলিসিতে।
■ রিটার্নের পদ্ধতি: এই পলিসির পলিসি হোল্ডার যদি মেয়ারপূর্তি অবধি জীবিত থাকেন তাহলে মেয়াদ শেষে সম্পুর্ন রিটার্ন পাবেন তিনি। তবে যদি পলিসি চলার মাঝে পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হয়, তাহলে তার নমিনি বিমাকৃত অর্থ সহ সম্পূর্ন রিটার্ন পাবেন।
■ সুরক্ষিত বিনিয়োগ: এই পলিসিতে বিনিয়োগ ভীষণভাবে সুরক্ষিত। কারণ শেয়ার বাজারের ওঠানামার উপর এই পলিসির রিটার্ন নির্ভর করেনা। তাই সেক্ষেত্রে আপনার টাকা কমে যাওয়া বা সঞ্চয় চলে যাওয়ার ভয় নেই। তবে এই বিষয়ে এজেন্ট বা অফিসে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই বিনিয়োগ করা উচিত।