প্রতিটি কর্মক্ষেত্রেই কিছু সবজান্তা গামছাওয়ালা থাকেন যাঁদের টার্গেট হন মহিলারা। চিরকালীন এই ঘটনা বর্তমানে মহিলারাও বুঝে গিয়েছেন। তাই তাঁরা পাত্তা দেন না। তবু মহিলাদের ভাঙার চেষ্টা হয়। তাঁদের স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু নারী প্রকৃতির অংশ, ফলে তা কার্যতঃ অসম্ভব। অভিনেত্রী স্বাগতা মুখার্জী (Swagata Mukherjee)-ও পেরিয়ে এসেছেন এই জাঁতাকল।
সেই দিনগুলি ‘জোশ টকস’-এর মঞ্চে আবারও ফিরে দেখলেন তিনি। যথেষ্ট অল্প বয়সে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ স্বাগতার। তিনি প্রথম যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, সেই সময় তাঁর মুখে অনেক দাগ ছিল যা তাঁর বয়সের সাথে সাথে অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। প্রথম আঘাতটা এসেছিল স্বাগতার মায়ের বান্ধবীর কাছ থেকে। তিনি অভিনেত্রীর মাকে বলেছিলেন মেয়ের ট্রিন্টমেন্ট করাতে। না, কেরিয়ারের জন্য নয়। তাঁর চিন্তা ছিল, স্বাগতার বিয়ে হবে না। তখন অবশ্য ট্রিটমেন্ট চলছিল স্বাগতার যা এই কথা শোনার পর বন্ধ করে দেন তিনি। তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর অস্তিত্ব মুখের দাগ বা শরীরের মাপে নয়। স্বাগতার অভিনয়ই তাঁর পরিচয়।
View this post on Instagram
শৈশব থেকেই গান শিখেছিলেন স্বাগতা। থিয়েটারে যোগাযোগ প্রায় হঠাৎই। এরপর একসময় একের পর এক কাজ করতে করতে স্বাগতা বুঝতে পেরেছিলেন, অভিনয়ই হতে চলেছে তাঁর পেশা। উপভোগ করছিলেন স্বাগতা। কিন্তু হারিয়ে যেতে দেননি নিজের গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন। সুযোগ এসেছে মিউজিক অ্যালবাম তৈরির। গান করেছেন স্বাগতা।
অভিনয় কখনও শেখানো যায় না বলে মনে করেন স্বাগতা। নিজের চরিত্র থেকে অন্যের চরিত্র চিত্রায়ণে সঁপে দেওয়ার নামই অভিনয় বলে মনে করেন তিনি। স্বাগতার মতে, চরিত্রের ক্ষেত্রে ছোট-বড় হয় না। ফলে সম্পূর্ণ গুরুত্ব দিয়ে চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা উচিত। টাকা নিয়ে অভিনয় জগতে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের বিষয়েও সাবধান করলেন স্বাগতা। তাঁর মতে, পরিশ্রমই পারে একজন অভিনেতাকে তার সঠিক স্থান দিতে। স্বাগতা নিজেই তার উদাহরণ।
View this post on Instagram