সোশ্যাল মিডিয়া এখন সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। মানুষ এগিয়ে আসছে এই মাধ্যমের হাত ধরেই। নিজের প্রচার হোক বা ব্র্যান্ডের বা কোনো মেসেজ হোক, এই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন কিছু সেকেন্ডের মধ্যে। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই মানুষ একে অপরের ডাক শুনতে পারছেন, যাকে কোনোদিন দেখেননি জানেননা তার কাছে পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারছেন। সুতরাং, এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এক পাও চলা সম্ভব নয়। এবারেও এক অচেনা অজানা ছোট্ট মেয়ের কাতর আর্জি শুনতে পেলেন সাংসদ অভিনেতা দেব।
কে এই ছোট্ট মেয়ে? সে চুঁচুড়া নারী শিক্ষা মন্দিরের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তিতলি দত্ত। ওর বাবা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার কাতর আর্তি সোশ্যাল মিডিয়ায়, “আমার বাবাকে একটু বাঁচাবে। আমার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিয়োটি চোখে পড়ে তৃণমূলের তারকা সাংসদ দেবের (Dev)।
কী হয় ওই ভদ্রলোকের? অসুস্থ মানুষটির নাম সন্দ্বীপ দত্ত। তিনি চুঁচুড়ার অন্তার বাগান এলাকার বাসিন্দা। সল্টলেকে একটি গাড়ি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। পরবর্তীতে, অসুস্থতার কারণে সেই কাজ হারিয়ে যায়। বর্তমানে, বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছেন সন্দীপবাবু। জানা গিয়েছে, এই ভদ্রলোকের প্রথমের দিকে প্যানক্রিয়াসের সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর, হাই-সুগার থাকায় কিডনি আর লিভারেও প্রভাব পড়ে। বেঙ্গালুরুতে গিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেন, প্যানক্রিয়াস অপারেশনের খরচ অনেক। প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তাই ফিরে আসেন সন্দীপবাবু। কিছুদিন আগে পর্যন্ত পরিচিতদের সাহায্যে হায়দ্রাবাদে চিকিৎসা করান তিনি। অপারেশন করার পরেও সুস্থ হননি তিনি। কলকাতার শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি হন। হাই সুগার থাকায় কোমরের নীচে ইনফেকশন ছড়িয়ে গিয়েছে।
My team is already coordinating with the family..Thanku Nilonjit for the news 🙏🏻 https://t.co/JoLEDe01im
— Dev (@idevadhikari) May 16, 2021
এতকিছু জানতে পারে দেব এগিয়ে আসেন তিতলির বাবার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ এই ভিডিও তার কাছে এলে তিনি টুইট করে জানান যে ওই পরিবারকে সাহায্য করার করবেন তিনি নিজে। এছাড়াও, চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত।