Hoop PlusTollywood

Madan Mitra: অবাক কান্ড! নিজের বায়োপিকে রাজ্যপালের চরিত্রে অভিনয় করবেন মদন মিত্র

এই তো মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেছিলেন, দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করলে টলিউডের দরজা তাঁর জন্য খোলা আছে। অবশ্য এটা বলার কারণ আছে। মদনকে প্রায় সব রাজনৈতিক কর্মকান্ডে দেখা যায় টলিউডের নায়িকাদের আমন্ত্রণ জানাতে। নায়করা একটু বঞ্চিতই থাকেন। কিন্তু এবার নিজের বায়োপিকে শেষে কিনা রাজ্যপালের চরিত্রে মদন! না না, জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankad) অবশ্যই নয়, তবে রাজ্যপালের চরিত্র। রাজ্যপালের নাম? ওহ, লাভলি, যদিও সেটা জানা যায়নি, কিন্তু ধরে নেওয়া যাক, লাভলি ধরনের কোনো নাম হবে!

অবশ্যই এটা কিন্তু গুজব নয়, মদন স্বয়ং জানিয়েছেন, তিনি নিজের বায়োপিকে রাজ্যপালের চরিত্রে অভিনয় করছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জিৎ (Jeet) অভিনীত ফিল্ম ‘রাবণ’-এর প্রিমিয়ারে দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলে এসেছিলেন মদন। সেখানে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন, তাঁর সারপ্রাইজ সিক্রেট। মদন জানিয়েছেন, কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) যখন ‘পথের পাঁচালী’ ফিল্মের জন্য বিদেশে পুরস্কৃত হয়ে দেশে ফিরেছিলেন, সেই সময় তাঁকে সম্মানিত করেন রাজ্যপাল। সেই রাজ্যপালের চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন মদন। এই খবর শুনে মদনের অনুরাগীরা যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, মদন একটু রঙিন ছেলে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বায়োপিকও একটু রঙিন তো হবেই। এই বায়োপিকের পরিচালক রাজর্ষি দে (Rajarshi Dey) মদনের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)-কেই ভেবেছেন। প্রকৃতপক্ষে, শাশ্বত ছাড়া এই ধরনের চরিত্র নিখুঁত ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে বোধ হয় কেউ পারবেন না। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রের জন্য তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tanushree Chakraborty), মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mallika Banerjee)-র সঙ্গে কথা বলেছেন পরিচালক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রের জন্য কার নাম ভাবছেন, তা এখনও অবধি জানাননি রাজর্ষি। তবে এই চরিত্রে যিনিই অভিনয় করুন না কেন, তাঁর কাছে চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।

রাজর্ষি জানিয়েছেন, যে কোনও ফিল্মে বিনোদন একটি বিশেষ সংযোজন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত প্রত্যেকটি মানুষ জানেন, মদন মিত্রের রাজনৈতিক কেরিয়ার প্রথম দিকে যথেষ্ট লড়াইয়ের। সেই সময় তিনি রঙিন ছিলেন না। একজন রাজনৈতিক কর্মী থেকে প্রিয় জননেতা হয়ে ওঠার কাহিনী নিয়েই তৈরি হতে চলেছে মদন মিত্রের বায়োপিক। মদনের এলাকার মানুষ হওয়ার সুবাদে রাজর্ষি অনেক কাছ থেকে দেখেছেন মদনকে। কামারহাটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। অথচ অপরদিকে রয়েছে আদ্যাপীঠ, দক্ষিণেশ্বরের মতো এলাকা যা হিন্দু ধর্মের প্রতীক। কিন্তু এই স্থানে কোনোদিন কেউ শোনেননি হিন্দু-মুসলিম বিরোধের কথা। মদনের বন্ধুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব বছরের পর বছর ধরে এই এলাকার শান্তি বজায় রেখেছে।

চলতি বছরের শেষে শুরু হতে চলেছে মদন মিত্রের বায়োপিকের শুটিং। যাক, তাহলে টলি-ডেবিউ ভালোই হল, ওহ, লাভলি!

whatsapp logo