কলকাতার মডার্ন মেয়ে। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই অভিনয় এবং মডেলিং দুদিকেই সফল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরে সংখ্যা তো ২ মিলিয়নের উপর। ছিপছিপে গড়নে স্টাইলিশ পোশাকে মোহময়ী হয়ে ধরা দেন মাঝে মধ্যেই। ট্রোল বা সবক্ষেত্রেই তিনি প্রস্তুত। অনুরাগীরা তো নজর দিয়েই রাখেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে। এই সুন্দরী অভিনেত্রীর নাম যে মধুমিতা সরকার, নিশ্চয়ই বোঝা গেছে?
অতি সম্প্রতি মধুমিতার আবারও দেখা মিললো সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাদা প্লাজো প্যান্ট ও সাদা স্লিভলেস টপ পড়ে সমুদ্রের তীরে রোদ পোহাতে পোহাতে দেখা মিললো সুন্দরীর। শুষ্ক হাওয়া হলে কি হবে গ্ল্যামার তাঁর বেশ চনমনে। হাওয়া বইছে রেশমী চুলও উড়ছে। ফুরফুরে মেজাজ। হয়ত আনমনে গুনগুনিয়ে গেয়ে উঠলেন গান, “ আজকে জোটে তোমায় যদি, একটা গোটা গঙ্গা নদী করব অনুবাদ।”ক্যাপশনেও তাই-ই লিখে ফেলেছেন।
বলা বাহুল্য, গানপ্রিয় ভক্তদের তো তাঁর কমেন্ট বক্সে যাতায়াত লেগেই থাকে। তাঁরাও তাই গানের পংক্তিটি একটি শেষ করতে চাইলেন, “ শীতের রাতে যায় না বোঝা মনের বালিশ…… তোমার চোখের শীতলপাটি দাও বিছিয়ে শুই।” সাথে প্রশংসাও করলেন তাঁর মোহিনী লুকের, “তোমার সৌন্দর্য তো দিনদিন বেড়েই চলেছে মধু। যাক দিনটা ভালোই যাবে।” কেউ কেউ তো মধুমিতার আসন্ন ‘কুলের আচার’ মুভির জন্য উদ্বেগও প্রকাশ করে বসে রয়েছেন, “বিক্রমদার বউ সেজে তোমার মিঠি লুক কবে দেখবো মধুমিতা।”
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, এই মিঠি হলো কুলের আচারের মুখ্য চরিত্র। আর বিক্রম চ্যাটার্জী হলেন এই ছবিতে তাঁর সাপোটিভ স্বামী। বিয়ের পর তার পদবী পাল্টাতে চায় না মিঠি। পদবীর সঙ্গে বাবা, মা, দাদু, ঠাকুমার অস্তিত্ব জড়িয়ে থাকে এই পদবীতে। আর ছেলেরা তো পাল্টায় না, মেয়েরাই শুধু কেন? মিঠির মতো এমন দাবি অনেক মেয়ের থাকায় অনেক আলোচনা, সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। শ্বশুরবাড়িতে সইতে হয় গঞ্জনা। মিঠিকেও কি তেমনই কিছু সইতে হবে ? তাহলে যারা পদবী বদলায় তারা সবাই ভুল ?তাহলে কি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো দুটো পদবী রাখা মানুষগুলোও ভুল ? এই ঠিক ভুল নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবির প্রেক্ষাপট।